একটি ২৫ তলা উঁচু বাড়ির( 25 STOREY) সমান গাছ। সবচেয়ে লম্বা। থ্রিডি ম্যাপিং স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে। তারপর থেকেই তার কাছে পৌঁছতে বিজ্ঞানীদের প্রস্তুতি, অভিযাত্রীদের পরিকল্পনা। পাঁচ বার অভিযান। কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিল না। আমাজনের ঘন জঙ্গল। কন্টকাকীর্ণ নদী, ঘন জঙ্গলের পথ। পদে পদে বিপদের হাতছানি। রহস্য। বিষাক্ত পোকা, সাপ, জন্তুর আতঙ্ক, তারই সঙ্গে অবিরাম বৃষ্টি। বিজ্ঞানীদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সারা বিশ্ব।
সেই গাছের সামনে পৌঁছতে গিয়ে বারবার হোঁচট খেতে হেয়েছ তাঁদের। বিষাক্ত মাকড়সা এবং অন্য পোকামাকড়ের কামড় খেয়ে বহু কষ্টে ১৯ জনের টিম দুই সপ্তাহের ট্রেকের পর হাজির হয় সেই গাছের একেবারে কাছে। তারপরে পরশপাথর ছোঁয়ার স্বর্গীয় অনুভূতি, এমনটাই জানিয়েছেন ওই টিমের সদস্যরা। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ১২ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অভিযান চলে।
আরও পড়ুন: Nashik Bus Fire: নাশিকে বাসে আগুন লেগে মৃত কমপক্ষে ১১, ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
তার পিরকল্পনা করা হয়েছিল তিন বছর ধরে। দৈত্যাকার (GIANT) এই গাছটি পাওয়া গিয়েছে উত্তর ব্রাজিলে ইরাতাপুরু রিভার নেচার রিজার্ভ এর কাছে। বিজ্ঞানসম্মত নাম ডিনিজিয়া এক্সসেলসা (Dinizia excelsa)। যার উচ্চতা ২৯০ ফুট(৮৮.৫ মিটার)। চওড়া ৩২(৯.৯ মিটার) ফুট। এর আগেও গবেষক, পরিবেশবিদ, স্থানীয় গাইডরা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, দুর্গম পরিবেশের কারণে সেই অভিযান ব্যর্থ হয়। ঘনজঙ্গল ঘেরা নদী পথে নৌকায় ২৫০ কিলোমিটার, তার পরে আরও ২০ কিলোমিটার হেঁটে বিজ্ঞানীরা সেই গাছের গোড়ায় পৌঁছন।
টিমের অন্যতম সদস্য আমাপা ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট ইঞ্জিনিয়ার দিয়েগো আর্মান্দো সিলভা বলেন, এই গাছকে ছোঁওয়া আমার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা। দেখে মেন হচ্ছে গাছটি অন্তত ৪০০-৬০০ বছরের প্রাচীন। সেখানকার মাটি, গাছের পাতা ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গাছটির স্থানীয় নাম অ্যাঞ্জেলিম ভার্মেলহো।