বাঁকুড়া: বিশেষ হাইমলিক কৌশলে চার বছরের ছেলের জীবন (Save Life) বাঁচাল মা। এই কৌশলে সন্তানের শ্বাসনালিতে আটকে থাকা চকোলেটের (Chocolate) টুকরো বের করে ছেলের প্রাণ রক্ষা করলেন এক শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) বিকনাতে। এই কৌশল সবার জেনে রাখা জরুরি বলে মনে করেন ওই শিক্ষিকা (Teacher) যূথিকা নন্দী। গ্রামের মানুষকে এই কৌশল শেখাতে এবার ডাক্তারি পড়ুয়াদের মাঠে নামাবে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ (Bankura Medical College) কর্তৃপক্ষও।
বাঁকুড়ার বিকনা গ্রামের বাসিন্দা যূথিকা নন্দী বাঁকুড়া শহরের টাউন গার্লস স্কুলের (Town Girls School) ইংরেজী শিক্ষিকা। শুক্রবার সকালে বাড়িতে স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পাশেই ছিল তাঁর চার বছরের পুত্র সন্তান। হঠাৎ দেখেন তাঁর সন্তান ছটপট করতে থাকে। বন্ধ হয়ে যায় গলার স্বর। তিনি বুঝতে পারেন, ছেলে চকোলেট খেতে খেতে তা তাঁর গলায় আটকেছে। নিজেকে মানসিকভাবে শক্ত রেখেই দেরি না করে দ্রুত শিখে রাখা হাইমলিক কৌশল ছেলের উপর প্রয়োগ করতে শুরু করে দেন যূথিকাদেবী।
হাইমলিক কৌশল প্রয়োগ করতেই ছেলের গলা থেকে বেরিয়ে আসে চকলেটের টুকরো। এই কৌশল শেখা ছিল তাই ছেলেকে প্রাণে রক্ষা করতে পেরেছি বলে জানালেন যূথিকা। তা সবার শিখে রাখা জরুরি বলেও জানালেন ওই শিক্ষিকা। হাইমলিক কৌশল কীভাবে ব্যবহার করে ছেলের প্রাণ রক্ষা করেন তাও এদিন হাতে-কলমে দেখিয়ে দেন ওই শিক্ষিকা (Teacher)।
আরও পড়ুন: Birbhum Blast: বীরভূমে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সহ ৬
এই নিয়ে এই হাইমলিক কৌশলে বাঁকুড়ায় বাঁচল ১৮ জনের প্রাণ। জানাচ্ছে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সংগঠনের সদস্য সৌম্য সেনগুপ্ত জানান, হাইমলিক সবার শিখে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মত ডাক্তারদের৷বাঁকুড়া সম্মিলনি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষও এবার ডাক্তারি পড়ুয়াদের প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে হাইমলিক নিয়ে সচেতনতার পাঠ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন৷
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী বলেন, হাইমলিক হল এমন একটি কৌশল যার ফলে শ্বাসনালীতে আটকে থাকা খাবার বা কোনও বস্তু দ্রুত বের করে প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব।