Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeখেলাসাইড ভলিতে রিচার্লিসনের অবিশ্বাস্য গোল, হেক্সার লক্ষ্যে সার্বিয়াকে জোড়া গোলে হারিয়ে দুর্দান্ত...

সাইড ভলিতে রিচার্লিসনের অবিশ্বাস্য গোল, হেক্সার লক্ষ্যে সার্বিয়াকে জোড়া গোলে হারিয়ে দুর্দান্ত শুরু ব্রাজিলের

Follow Us :

ব্রাজিল–২         সার্বিয়া–০

(রিচার্লিসন–২)

হেক্সা, হেক্সা, হেক্সা। সারা পৃথিবীতে এখন একটাই কথা। ছয় বার বিশ্ব কাপ চাই ব্রাজিলের। কথাটা প্রথম তুলেছেন ফুটবল সম্রাট পেলে। আর সেখান থেকেই এই স্লোগানটা চালু হয়ে গেছে ফুটবল দুনিয়ায়। আর সেই হেক্সার লক্ষ্যে ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জোড়া গোলে হারাল সার্বিয়াকে। শুরু থেকে শেষ অবধি ব্রাজিল এত দাপটে খেলল যে এই দু গোলে তাদের স্টেডিয়াম জোড়া সমর্থকদের মন ভরার কথা নয়। কিন্তু ওই দুটো গোলের একটা তো আবার বিশ্ব কাপের সর্বকালের সেরা শো কেসে ঠাঁই পাওয়ার মতো। এই বিশ্ব কাপের এখন পর্যন্ত সেরা তো বটেই। ৭৩ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ক্রসটা ধরলেন রিচার্লিসন। দেখলেন চার পাশটা। এবার বাঁ পা থেকে ডান পায়ে নিয়ে দুর্দ্ধর্ষ একটা সাইড ভলিতে বলটা জড়িয়ে দিলেন জালে। সার্বিয়ার গোলকিপার তখন শুধু দর্শক। দশ গজের মাথা থেকে রিচার্লিসন মেরেছেন শটটা। এত পাওয়ার ছিল শটটাতে যে মনে হল নেটটা ছিঁড়ে যাবে। এ রকম একটা গোল দেখার জন্য হাজার মাইল হেঁটে আসা যায়। প্রথম গোলটাও রিচার্লিসনের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই বছরেই তিনি এভার্টন থেকে টটেনহাম হসপারে গেছেন। এই ক্লাবেই খেলেন হ্যারি কেন, সং মিন হো। তবু টটেনহাম কোচ আন্তোনিও কন্তেকে নিয়েছেন তাঁর গোল স্কোরিং এবিলিটির জন্য। কান্তের কোচিংয়ে গড়ে ওঠা পঁচিশ বছরের ছেলেটা বিশ্ব কাপের আবির্ভাবেই বাজিমাৎ করলেন।

জহুরি কোচ তিতে। জহর চিনতে তাঁর ভুল হয়নি। দলে নেমারের মতো দুর্দ্ধর্ষ স্ট্রাইকার, যাঁর এটা প্রথম নয়, তিন নম্বর বিশ্ব কাপ। তবু রিচার্লিসনের প্রতিভাকে কাজে লাগানোর জন্য নেমারকে তিনি একটু পিছন থেকে খেলাচ্ছেন। মাঝ মাঠে তিন আ্যাটাকিং মিডিও হলেন রাফিনহা, নেমার ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তাঁদের পিছনে দুই ডিফেন্সিভ মিডিও লুকাস পাকুয়েতা আর কাসেমিরো। তবে ব্রাজিলে সবাও তো নামে গোল করতে। তাই সামনের ছয় জনই গোলের জন্য মরিয়া হলেন প্রথম থেকে। ব্রাজিলের হলুদ জার্সির ছায়ায় তখন সার্বিয়ানদের লাল জার্সি ফিকে হয়ে গেছে। ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী টিম সার্বিয়া। তাদের শক্তপোক্ত চেহারা। লম্বা ছেলেগুলো তাদের শরীর ব্যবহার করে চেষ্টা করছিল ব্রাজিলিয়ানদের আটকে দিতে। কিন্তু তুখোড় স্কিলের কাছে কবে আর শক্তি ছোবল মারতে পেরেছে। তাই কাশেমিরোরা শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্র নিয়ে নিলেন। প্রথমার্দ্ধে তবু গোল হল না ব্রাজিলের দোষেই। কাশেমিরো তো বটেই রাফিনা, নেমার, ভিনিসিয়াস জুনিয়র এবং অবশ্যই রিচার্লিসনরা একটার পর একটা সুযোগ নষ্ট না করলে বিরতির আগেই গোলের মুখ দেখা উচিত ছিল ব্রাজিলের।

সেটা হল ৬৫ মিনিটে। বাঁ দিক থেকে ভিনিসিয়াস জুনিয়র একটা জোরালো সট নিলেন গোল লক্ষ্য করে। সেটা রুখতে গিয়ে কোনও রকমে হাত ঠেকালেন সাভি। বল তাঁর হাত থেকে বেরোবার সঙ্গে সঙ্গেই ছিলে ছেঁড়া ধনুকের মতো ছুটে গিয়ে রিচার্লিসন জড়িয়ে দিলেন জালে। আট মিনিট পরে আবার গোল। এবং কার্যত ম্যাচ শেষ। ব্রাজিলের চার ডিফেন্ডারদের পরীক্ষা নিতেই পারলেন না সার্বিয়া ফরোয়ার্ডরা। ডানিলো, মার্ককুইনহোস, থিয়েগো সিলভা এবং সান্দ্রোর পরীক্ষা হল না। আর গোলে আলিসন বেকার তো শুধু দর্শক। সারাক্ষণ তাঁকে বেকার করে রেখে দিলেন থিয়েগো সিলভারা। এই ব্রাজিল টিমে ভারসাম্য আছে। তিতে গত বিশ্ব কাপে কোয়ার্টার ফাইনালে হারার পর টিমটার সঙ্গে লেগে আছেন। তাঁর মনোভাব খুব স্পষ্ট। টিমে নয়জন ফরোয়ার্ড নিয়েছেন। অ্যাটাক, আ্যাটাক আর অ্যাটাক। শুরুতেই নামল চারজন। পরে গ্যাব্রিয়েল জেসুসকেও নামানো হল। বাকিদের মধ্যে অ্যান্টনি, রডরিগো, মার্টনেলিরাও সুযোগ পেলেন। বুকের পাটা আছে তিতের।  প্রথম দিনেই আট ফরোয়ার্ড যাচাই করে নিলেন। জি গ্রুপে পরের দুটি ম্যাচ সুইৎজারল্যান্ড আর ক্যামেরুনের সঙ্গে। ব্রাজিল এখনই পরের রাউন্ডের কথা ভাবতে পারে।  

RELATED ARTICLES

Most Popular