কলকাতা: এসএসসি গ্রুপ সি-র ৩৫০ জনের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রুপ ডি-এর মত গ্রুপ সি-র ক্ষেত্রও ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারপর কাউন্সেলিং করে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেই এর আগে গ্রুপ ডি অর্থাৎ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসাবে চাকরি পাওয়া ৫৭৩ জনের বেআইনি নিয়োগ বাতিল করা হয়েছিল। এমনকি, চাকরি বাতিল হওয়া কর্মীদের বেতনের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার ওই ৫৭৩টি শূন্যপদেই মেধার ভিত্তিতে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের চাকরি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে গ্রুপ সি বিভাগেও বেআইনি ভাবে নিয়োগ হওয়া ৩৫০টি পদে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ৫৭৩+৩৫০ অর্থাৎ মোট ৯২৩টি পদে চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এসএসসিকে।
এ দিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি বেআইনি নিয়োগকারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে যারা ওয়েটিংয়ে আছেন তাদের অবিলম্বে চাকরি দিতে চাই। তারা অনেক অপেক্ষা করেছে। মামলাও অনেকদিন চলছে। আর সময় নষ্ট করতে চাই না। আমি চাই প্রকৃত চাকরি প্রাথীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করতে।” একই সঙ্গে এসএসসিকে তাঁর নির্দেশ, জেলাভিত্তিক ৫৭৩ জন গ্রুপ ডি পদে ওয়েটিং। মেধাতালিকা থেকে অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে। জেলায় জেলায় মেধাতালিকা ও শূন্য আসন খতিয়ে দেখে নিয়োগ করতে হবে।
২০১৬ সালে স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের সুপারিশ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই নিয়োগ ঘিরে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। চাকরি প্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, ২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বেআইনিভাবে প্রচুর লোককে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রথমে এই সংখ্যাটা ২৫ বলে দাবি করা হলেও পরে অভিযোগ ওঠে, আরও অনেক প্রার্থীই এভাবে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের পর চাকরিপ্রার্থীদের ওই প্যানেল তৈরি করে দিয়েছিল কমিশন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গ্রুপ সি-র নিয়োগের ক্ষেত্রে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে এসএসসি গ্রুপ সি ও ডি স্তরে অনিয়মের অভিযোগে প্রায় ৮০০ জনের চাকরি বাতিল, ৫০৩ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি৷ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় গ্রুপ সি পদে সকলের নিয়োগ বাতিল করে জানিয়েছিলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে কখনও নিয়োগের সুপারিশ করা যায় না।