নয়াদিল্লি: দেশে ফের বাড়ছে করোনা (Corona) সংক্রমণ। এই আবহে আইনজীবীদের ভার্চুয়ালি উপস্থিত হতে বললেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে একটি মামলার শুনানি চলছিল গত বুধবার। শুনানি চলাকালীন কাশেন বরিষ্ঠ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং (Indira Jaysingh)। কাশি দেখার পরেই ভার্চুয়াল শুনানির কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, বরাবরই অনলাইনে বিচার প্রক্রিয়া চালানোর পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন তিনি। সম্প্রতি সমস্ত হাইকোর্টকে অনলাইনে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন।
দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। করোনার এই বাড়বাড়ন্তের জন্য করোনার নতুন এক্সবিবি.১.১.১৬ ভ্যারিয়েন্টকেই (XBB.1.16 Variant) দায়ী করছেন গবেষক-বিশেষজ্ঞরা। একাধিক রাজ্যেও চিন্তা বাড়াচ্ছে সংক্রমণের হার। বেশি বাড়বাড়ন্ত হল রাজধানী দিল্লি (Delhi), মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। মহারাষ্ট্র গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০৩ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে। তিন জনের মৃত্যু ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬০৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের নমুনাতেই করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে।
ভারতে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় (Union Health Minister Mansukh Mandaviya) সোমবার বলেছেন যে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট যা দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা না বাড়লেও মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডগুলিকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় জানিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালগুলিতে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউ শয্যা, অক্সিজেন সরবরাহ এবং অন্যান্য ক্রিটিকাল কেয়ার পরিষেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে, জ্বর-সর্দি-কাশি হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, বিশেষ করে যদি জ্বর ৫ দিন একটানা থাকে তাহলে দেরি না করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হাজির হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যাদের অন্যান্য রোগ রয়েছে তাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা করোনার এক্সবিবি.১.১৬ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে সাধারণ উপসর্গ হল কাশি ও সর্দি। যারা সংক্রমিত হচ্ছেন, তাদের ফুসফুস, হৃৎপিন্ড, যকৃৎ ও মস্তিষ্কে দীর্ঘকালীন প্রভাব পড়তে পারে। করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশেষ চিন্তার কারণ না থাকলেও, যাদের কো-মর্ডিবিটি রয়েছে এবং যাদের অত্যাধিক ওজন, তাদের সংক্রমণ নিয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের। যারা এখনও বুস্টার ডোজ নেননি, তাদেরও টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।