কলকাতা: তৃতীয় দফার নির্বাচনে (Loksabha Elections 2024 3rd Phase) দেশের ১১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩ নির্বাচনী এলাকায় আজ ভোট। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেগুলি হল অসম, বিহার, ছত্তিশগড়, দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ, গোয়া, গুজরাট, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ। সুরাট আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে বিজেপি। রাজ্যে তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে পশ্চিমবঙ্গের ৪ কেন্দ্রে। ভোটগ্রহণ হবে মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর (Jangipur) ও মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। অশান্তি এড়াতে নির্বিঘ্নে ভোট করতেই তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণে ৪ কেন্দ্রে মোতায়েন রয়েছে মোট ২৫৬ কোম্পানি বাহিনী। এই পর্বে বেশ কিছু হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের ভাগ্য পরীক্ষা। তৃতীয় দফায় অভিযোগের পাহাড় বাংলার চার লোকসভা কেন্দ্রে।
রাজ্যের তৃতীয় দফার ভোটে নির্বাচন কমিশনে সব থেকে বেশি অভিযোগ জমা পড়ল মুর্শিদাবাদ লোকসভা থেকে। সিপিআইএম এবং লোকসভা কেন্দ্র হিসেবে মুর্শিদাবাদ থেকে সব থেকে বেশি অভিযোগ।মোট অভিযোগ ২৯৮। মালদহ উত্তরের রতুয়া-১ ব্লকের চাঁদমণি-২ অঞ্চলের বাটনা এলাকায় ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। ভোটারদের ভোটদানে বাধা দিতে প্রকাশ্য রাস্তায় বোমা ফাটানো হয় বলে অভিযোগ। ডোমকলের সাখোলিপাড়া হাই মাদ্রাসা ৫২ ,৫৩ নম্বর বুথে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষের (CPIM-Trinamool Clash) অভিযোগ। অভিযোগ, সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা ভোট দিতে গেলে তাদের বাধা দেয় তৃণমূল। বাঁশ লাঠি হাতে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: সেলিমের বিরুদ্ধে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব কমিশনের
মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে ভোটারদের হেনস্থা করার অভিযোগ। রানিনগরে বুথের বাইরে বামপ্রার্থী মহম্মদ সেলিমকে ঘিরে বিক্ষোভ। গো ব্যাক স্লোগান। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির অভিযোগ। গোটা ঘটনার রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন। মিডিয়া ওয়াচের মাধ্যমে লাইভ দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় ওঠে মুর্শিদাবাদ। এবার মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের রমনা বসন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান দক্ষিণ মালদহের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। সকালে ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়া শিশু নিকেত প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা। বুথের মধ্যে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশ কর্মী, দাবি শ্রীরূপার। তিনি বলেন , ভোটারদের সঙ্গে কথা বলা পুলিশের কাজ নয়। এর পরে, কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানকে ধমক দেন তিনি।
অন্য খবর দেখুন