কলকাতা: সন্তোষপুর (Santoshpur Fire) স্টেশনের পাশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire Breakout )। বজবজ-শিয়ালদহ (Budge Budge – Sealdah Train) শাখার মহেশতলায় সন্তোষপুর স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের (2nd platform of Santoshpur station) পাশে আগুন লাগে। দাউ দাউ করে জ্বলছে স্টেশন সংলগ্ন বেশ কয়েকটি দোকান। এখনও পর্যন্ত ১৫ টি দোকান সম্পূর্ণ ভাবে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এলাকা। ঘটনাস্থলে দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। অগ্নিকাণ্ডের জেরে শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় আপ ও ডাউন লাইনে ব্যাহত হলেও, পরে স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় কোনও একটি দোকানে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দ পান এলাকার লোকজন। এরপরই আগুনের লেলিহান শিখা দেখা ঘিঞ্জি এলাকা, পাশাপাশি দোকান, ফলে দ্রুত ছড়াতে থাকে আগুন। দোকানগুলিতে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পর পর দোকান হওয়ায় একটা দোকান থেকে আরেকটা দোকানে আগুন ধরে যায়। যেহেতু স্টেশনচত্বর, বহু মানুষ সেখানে ছিলেন। প্রথমে স্টেশন সংলগ্ন বসতির বাসিন্দারা আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা করে। খবর দেয় দমকলে। এছাড়াও এলাকার দোকানগুলিতেও মানুষের প্রচুর ভিড় ছিল। ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আরও পড়ুন:CBI | Cattle Scam | গরু পাচারে রাজ্যে অনেক শুল্ক অফিসারের বাড়িতে সিবিআই হানা
রেলের তরফেও আগুন নেভাতে সবরকম ভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। তবে আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সন্তোষপুর স্টেশনে। জানা যাচ্ছে, আগুনের গ্রাসে ছিঁড়ে গিয়েছে রেলের প্যান্টোগ্রাফ। যার ফলে শিয়ালদহ-বজবজ শাখাতে সম্পূর্ণ ভাবে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে রেল চলাচল। পরে স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। প্রথমেই ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ৩ টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন আয়ত্তে আনার কাজ। সূত্রের খবর, আগুনকে আয়ত্তে আনতে বাড়ানো হচ্ছে ইঞ্জিন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও টি কে দত্ত বলেন, আগুন লাগার কারণ বোঝা যাচ্ছে না। তবে ৮ টি ইঞ্জিন আনা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।