ভাঙড়: ফের ভাঙড় (Bhangar) যাওয়ার পথে বাধার মুখে নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। বিধাননগরের হাতিশালায় তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। সেখান থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন আইএসএফের বিধায়ক। গাড়ি থেকে নেমে পুলিশ আধিকারিকে তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমি হেঁটে ভাঙড়ে যাব। কিন্তু যাবই।
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। ভোট মিটলেও বোমাবাজি-গুলি, খুনোখুনি কোনও কিছুই বন্ধ হয়নি। ভোটের গণনার দিনই আইএসএফ ও পুলিশের সংঘর্ষে প্রাণও গিয়েছে ৩ জনের। পরবর্তীতে ভাঙড়ের নির্দিষ্ট এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ভাঙড়ের ঢোকার মুখেই নাকা পয়েন্ট করা হয়েছে। শুক্রবারের পর রবিবারও ফের ভাঙড়ে প্রবেশের আগে বিধাননগরের হাতিশালায় পুলিশি বাধার মুখে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। পুলিশের দাবি, ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে এলাকায়। সেই কারণে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar | Government | ঘাসফুলে কী এবার অপারেশন কমল? কী ইঙ্গিত দিলেন সুকান্ত
এদিন হুগলির নিজের বাড়ি থেকে ভাঙড়ের উদ্যেশ্যে রওনা দেওয়ার আগেই নওশাদের আশা করেছিলেন শুক্রবারের মতো আজ তাঁকে বাধা দেওয়া হবে না ভাঙড়ে যেতে। নওশাদের কথায়, বেআইনি ভাবে আমায় আটকানো হয়েছিল সে দিন। আজ আবার যাচ্ছি। আশা তো করছি, আজ আটকাবে না। কিন্তু হাতিশালার কাছে যেখানে নওশাদকে আটকানো হয়েছে। ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়নি। এতেই ক্ষুব্ধ নওশাদ সিদ্দিকি। এ নিয়ে নওশাদ বলেন, সুপরিকল্পিত ভাবে আটকানো হচ্ছে। ভাঙড়ের মানুষ বিপদে। এই পরিস্থিতিতে কেন বিধায়ককে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না? প্রশ্ন নওশাদের। গাড়িতে অপেক্ষা করার পরই নেমে সরাসরি পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। নওশাদ বলেন, প্রয়োডনে একা পায়ে হেঁটে তিনি যাবেন।
অন্যদিকে, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ আধিকারিকদের বক্তব্য, তাঁরা সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বিধায়কের অভিযোগ থাকলে তিনি লিখিত আকারে দিক। তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।