কলকাতা: শুক্রবার কলকাতায় (Kolkata) সেভাবে ঠাণ্ডার অনুভূতি মিলল না। সকালে শীতের আমেজ থাকলেও সূর্যের (Sun) দেখা মিলতেই তা উধাও। আবহাওয়া দফতরের (Weather Office) হিসেব অনুয়ায়ী, এদিন সকালে শহরে তাপমাত্রা নেমেছিল ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গতকালের থেকে তাপমাত্রা কমেছে। (South Bengal) জেলার মধ্যে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তাপমাত্রা নেমেছিল ১৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। বাঁকুড়াতে (Bankura) তাপমাত্রা কমে নেমেছিল ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কলকাতায় আলিপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দমদম এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে মজার শীত উপভোগ করার জন্য এখন আদর্শ দার্জিলিং। সেখানে এদিন তাপমাত্রা নেমেছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ধর্মতলা থেকে লাক্সারি বাসের অনেকই তাই দার্জিলিংমুখী হতে শুরু করেছে। দিঘাতে তাপমাত্রা ছিল ২০.৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
আরও পড়ুন: Digi Yatra: ডিজি যাত্রা চালু ভারতের তিন বিমানবন্দরে
এখন মাঠে আমন ধান (Paddy) কাটার সময়। এই নরমে গরমের আবহাওয়া চাষের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। তবে আরও শীত অনুভূত হলে তা ফসলের পক্ষে ভালো। বিশেষ করে মাটির তলায় যেসব ফসল হয়। যেমন আলু। গত বছর আলু (Potato) চাষে কৃষকরা (Farmer) লাভের মুখ দেখেছিলেন। ফলে এবারও ব্যাপক হারে আলু লাগানোর সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের চাষীদের। ধান তুলে আলু লাগানো হবে। কিন্তু, বৃষ্টি হলেই বেতাল। গত বছর এই সময় মুর্শিদাবাদ, বর্ধমানের মতো জেলায় বৃষ্টি হওয়ায় মাঠে মারা গিয়েছিল পাকা ধানও। অনেকের কাটা ধান জমিতেই (Land) নষ্ট হয়ে যায়। ফলে এবার চাষীরা ধান কেটে বেশি দিন ফেলে রাখতে চাইছেন না। তবে, আশার কথা, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে জাঁকিয়ে কবে শীত (Cold) পড়বে তার নিশ্চয়তাও নেই।