নয়াদিল্লি: দু’দিন পর শিখ ধর্মগুরু গুরু নানকের জন্মবার্ষিকী৷ তার আগেই খুলে দেওয়া হল কর্তারপুর সাহিব করিডরের দরজা৷ মঙ্গলবার রাতে টুইট করে খবরটি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ জানান, শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য বুধবারই ৪.৭ কিমি দীর্ঘ করিডর খুলে দেওয়া হচ্ছে৷ কেন্দ্রের এই ঘোষণায় খুশি শিখ তীর্থযাত্রীরা৷ আজ থেকে কর্তারপুর যাওয়ার সুযোগ তাঁরা পাবেন৷ করোনা আবহে গত দেড় বছর ধরে বন্ধ ছিল কর্তারপুর করিডর৷ সংক্রমণ কমতেই করিডর খোলা নিয়ে ভারত সরকার অনেক দিন পাকিস্তানের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছিল৷ কিন্তু অভিযোগ, পাকিস্তানই করিডর খোলা নিয়ে অনিচ্ছুক ছিল৷
In a major decision, that will benefit large numbers of Sikh pilgrims, PM @Narendramodi govt has decided to re-open the Kartarpur Sahib Corridor from tomorrow, Nov 17.
This decision reflects the immense reverence of Modi govt towards Shri Guru Nanak Dev Ji and our Sikh community.— Amit Shah (@AmitShah) November 16, 2021
আরও পড়ুন: ৭২টি বোয়িং বিমানের অর্ডার দিল ঝুনঝুনওয়ালার আকাসা এয়ার, শীঘ্রই পরিষেবা শুরু
এদিকে ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরই দুই দেশের মধ্যে কর্তারপুর করিডর খোলা নিয়ে নভজ্যোত সিং সিধুকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেয় পাকিস্তান৷ কর্তারপুর করিডর ডট কম ডট পিকে ওয়েবসাইটে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ভূয়সী প্রশংসা করা হয়৷ তাতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু৷ ভারতের কিংবদন্তী শিখ ক্রিকেটার গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীর আগে দুই দেশের মধ্যে কর্তারপুর করিডর খোলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইমরান খানকে৷
পাকিস্তানের দাবি উড়িয়ে পঞ্জাবের বিজেপি সভাপতি অশ্বিনী শর্মা করিডর খোলার পুরো কৃতিত্ব দেন কেন্দ্রের মোদি সরকারকে৷ জানান, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরই শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য কর্তারপুর করিডর খোলার উদ্যোগ নেয়৷ ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু ভারতের দিকের অংশের করিডরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন৷ ঠিক এর দু’দিন পর পাকিস্তান তাদের অংশের করিডরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে৷
আরও পড়ুন: গণধর্ষণ মামলায় রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ল কৈলাস বিজয়বর্গীয়র
ওই ওয়েবসাইটে তার উল্লেখ রয়েছে৷ বলা হয়েছে, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এবং নভজ্যোত সিং সিধুর আন্তরিক প্রয়াসের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে৷ এর পাশাপাশি আগামী বছর পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে সিধুর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কামনা করে৷ জানায়, পঞ্জাবি ভোটারদের মধ্যে সিধুর জনপ্রিয়তা বাড়ছে৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসলে এই অঞ্চলের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক ইতিহাস বদলে যাবে৷