এবার পুজোয় মানুষের কাছে মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) বই পৌঁছে দিতে চায় সিপিএম(CPI(M))। বেশ কিছু বড় পূজা প্যানডালের বাইরে প্রত্যেক বছর সিপিএম কর্মীদের বইয়ের স্টল(book stall) দিতে দেখা যায়। সেখানে প্রধানত বিক্রি করাহয় মার্কসবাদী(Marxist) বই-পত্র। সেই সব বইয়ের সঙ্গে নতুন যে বই এবার পাঠকের হাতে তুলে দিতে চায় সিপিএম, তার নাম, ‘গান্ধীজীর বেলেঘাটা পর্ব ১৯৪৭, ঘটন-অঘটনে ছাব্বিশ দিন’। বইটি লিখেছেন অধ্যাপক এবং প্রক্তন সিপিএম বিধায়ক(ex CPM MLA) অঞ্জন বেরা(Anjan Bera)। শুক্রবার দলের রাজ্য দফতরে বইটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন সিপিএম নেতা এবং বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু(Left Front Chairman Biman Bose)।
১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনের সময় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ থামাতে গান্ধী বেলেঘাটার হায়দারি ম্যানসন(Hyadari Mansion) নামের একটি বাড়িতে ২৬ দিন কাটিয়েছিলেন। গান্ধীর সেই বেলেঘাটা অবস্থানের ৭৫ বছর পূর্ণ হল। গান্ধীর চলে যাওয়া কথা ছিল নোয়াখালি (Noakhali)। কিন্তু কলকাতায় শান্তি বজায় রাখতে অনেকের আনুরোধে তিনি কলকাতায় থেকে গিয়েছিলেল। এই বাড়িতে থাকাকালীন গান্ধীর উপর হামলারও চেষ্টা হয়েছিল। তাঁকে লক্ষ্য করে লাঠি এবং ইট ছোড়া হয়েছিল। অন্যদের আঘাত লাগলেও গান্ধীর শরীরে কোনও আঘাত লাগেনি।
আরও পড়ুন:
শান্তি প্রার্থনায় তিনি অনশনও করেছিলেন ওই সময়ে। ধীরে ধীরে কলকাতা শান্ত হয়েছিল। ১৯৪৭-এর ৭ সেপ্টেম্বর তিনি শেষ বারের মতো কলকাতা ছেড়ে চলে যান। কলকাতায় থাকাকালীন মাউন্টব্যাটেনের একটি চিঠি এসে পৌঁছায় গান্ধীর কাছে। তাতে মাউন্টব্যাটেন লিখেছিলেন, ‘পঞ্জাবে ব্যাপক দাঙ্গা থামাতে আমাদের ৫৫ হাজার সেনা নামাতে হয়েছিল। আর বাংলায় আমাদের বাহিনী ছিল একজনের, আর সেখানে কোনও দাঙ্গা হল না। একজন কর্মরত সেনানায়ক ও প্রশাসক হিসেবে আমি সেই একজনের বাহিনীকে আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি’।
‘গান্ধীজীর বেলেঘাটা পর্ব ১৯৪৭, ঘটন-অঘটনে ছাব্বিশ দিন’ বইয়ের লেখক মনে করেন আজও এই ২০২২ সাল, গান্ধীর এই বেলেঘাটায় কাটানো জীবনে কয়েকটি দিন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আজকের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর জীবন খুবই প্রাসঙ্গিক।