চেন্নাই: রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) বুধবারের ম্যাচে হারাল ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার লখনউ সুপার জায়ান্টসকে (Lucknow Super Gaints) । এরই সঙ্গে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গুজরাত টাইটন্সের (Gujrat Titans) মুখোমুখি হতে চলেছে মুম্বই। এদিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করত নেমে ৮ উইকেটে ১৮২ রান করেন রোহিতরা। তবে সেই লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি ক্রণালের দল। তাঁরা ইনিংস শেষ করে ১০১ রানে। মুম্বইয়ের আকাশ মাধওয়ালের বলের দাপটেই কার্যত বধ হন লখনউয়ের খেলোয়াড়রা।
প্রথমেই লখনউয়ের দুই ওপেনার আউট হয়ে যান। তিন নম্বরে নেমেও দলের অধিনায়ক ক্রণাল হাল ধরতে অক্ষম হন। ওপেনার প্রেরক মাঁকড় (৩) এবং কাইল মেয়ার্স (১৮) করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে ক্রুণাল করেছিলে ১১ বলে ৮ রান। যদিও মার্কাস স্টোইনিস চারে নেমে কিছুটা গতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। ২৭ বলে ৪০ রান করে রোহিতদের জয়ের মাঝে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে একা মার্কাস কী করবেন যদি তাঁর সঙ্গীরা ২২ গজে টিকে থাকতে না পারেন? নিকোলাস পুরানদের শূন্যতে আউট হয়ে যান। আয়ুষ বাদোনি করেন মাত্র ১ রান। মুম্বইয়ের তরুণ তুর্কি বোলার আকাশের বলেই কুপোকাত হয়ে যান লখনউয়ের ব্যাটাররা। ৭৪ রানে লখনউয়ের ৫ উইকেট পড়ে যায়।
প্রথম ইনিংসে মুম্বই ব্যাট করার সময় সকলের নজরে ছিলেন আফগান বোলার নবীন উল হক। ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে লখনউয়ের ব্যাটিং-এর সময়ে সমস্ত নজর ঘুরে যায় আকাশ মাধওয়ালের দিকে। ৩.৩ ওভার বল করে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৫টি উইকেট তুলে নেন মুম্বইয়ের এই তরুণ তুর্কি, যা সত্যিই অবিশ্বাস্য এবং একই সঙ্গে অনবদ্য। তবে এই ধরনের এক হেভি ওয়েট ম্যাচে লখনউ ম্যানেজমেন্ট কেন কুইনটল ডি কক-কে খেলালো না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাতের মুখোমুখি পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই। আর সেই ম্যাচে যে দল জিতবে তারা চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামবে। রবিবার আহমেদাবাদে এবারের আইপিএলের ফাইনাল এবং অন্তিম ম্যাচ।