কলকাতা: গ্রেফতারি এড়াতে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভর্তি হতে পারবেন না বলে একসময় জানিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ শনিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের পর সেই এসএসকেএমেই নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে৷ এদিন আদালতের রায় ঘোষণার পর অসুস্থ বোধ করতে থাকেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দরকার বলে জানান পার্থর আইনজীবীরা৷ সেইমতো আদালতের কাছে আবেদন করা হয়৷ যদিও ইডি পার্থকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তীব্র বিরোধিতা করে৷ তাদের দাবি ছিল, রাজ্যের যে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হোক প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর৷ কিন্তু ব্যাঙ্কশাল আদালতে খারিজ হয়ে যায় ইডির দাবি৷ আদালত পার্থকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়৷ এদিন সন্ধ্যায় এসএসকেএম পৌঁছনোর পর গাড়ি থেকে নামতে দৃশ্যতই অসুবিধা হচ্ছিল তৃণমূল মহাসচিবের৷ হাসপাতালে নামার পর তাঁকে কার্ডিওলজি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়৷
শুক্রবার সাতসকালে পার্থর নাকতলার বাড়িতে হানা দেয় ইডি৷ তখনও ঠিকমতো ঘুম ভাঙেনি পার্থর৷ শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব৷ তারপর সময় যত এগিয়েছে পার্থকে নিয়ে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক শিবিরে৷ টানা ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার সকাল ১০টায় ইডি গ্রেফতার করে পার্থকে৷ গ্রেফতারের পর শারীরিক পরীক্ষার জন্য প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকার ইএসআই হাসপাতালে৷ উল্লেখ্য, ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের সময় দু’বার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বিশেষজ্ঞদের ঢুকতে দেখা যায় পার্থর বাড়িতে৷