পাণ্ডবেশ্বর: পশ্চিম বর্ধমান জেলার বালিজুড়ি এমনই এক গ্রাম যেখানে সারা বছরই ‘জয় মা’ ডাক শোনা যায়। এই গ্রামে আছে আটটি প্রাচীন কালী মন্দির। আটটি মন্দিরে আট রূপে মা কালীর নিত্য পুজো হয়। ফলে সারা বছরই গ্রামে ‘জয় মা’ ডাক শোনা যায়। গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দাই কালীভক্ত। একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন জয় মা বলে। এককথায় কালীর গ্রাম বলেই পরিচিত ওই বালিজুড়ি।
কালীপুজোতে বালিজুড়ি রীতিমতো উৎসবের চেহারা নেয়। অনেক দূর দূর গ্রাম থেকেও মানুষ আসেন কালীগ্রামে। একটা ছোট গ্রামে এত কালী মন্দির আর কোথাও নেই বলে স্থানীয়দের দাবি।
গত দুবছর করোনার কারণে বালিজুড়িতে তেমনভাবে কালীপুজো হয়নি। এবার গ্রামের মানুষ করোনা আতঙ্ক ভুলে দীপাবলির উৎসবে মেতেছেন। সব মন্দিরে দুদিন আগে থেকে আলোর উৎসবের মেজাজ। স্থানীয় বাসিন্দারা নাওয়াখাওয়া ভুলে শক্তির আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন।
আরও পড়ুন Dakshineswar Temple: বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ভক্তদের ভিড় দক্ষিণেশ্বর থেকে কালীঘাট-তারাপীঠে
এই রাজ্যে রয়েছে বিভিন্ন সতীপীঠ, সাধনপীঠ। এমনই এক প্রাচীন সাধনপীঠ হল পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের বালিজুড়ি গ্রাম। কথিত আছে, গ্রামের আদি দেবী ক্ষেপা কালী ৯০০ বছরেরও প্রাচীন। এছাড়াও এখানে আছে একশো বছরের প্রাচীন মা নবীনা কালী। আছে মা এলোকেশী, মা মুক্তকেশী, মা বাগদি ক্ষেপি, মা বিল্ববাসিনী এবং মা বসন্তকালীর মন্দির।
গৌরব বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক গ্রামবাসী বলেন, সারা বছর আমরা এই পুজোর জন্যে অপেক্ষা করে থাকি। গোটা গ্রাম এই দিনে একটা পরিবার হয়ে ওঠে। পাঁচটি মন্দিরে মূর্তি তৈরি করে কালীপুজো করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা পিয়ালী গোস্বামী জানান, প্রতিবার কালীপুজোয় তিনি বাপের বাড়ি আসেন। তাঁদের পরিবার বংশপরম্পরায় বালিজুড়ির পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন।