কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মোদি-হাসিনা বৈঠক শুরু হল। নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দু দেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসলেন। অসমের কুশিয়ারা নদীর জলবণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে ওই বৈঠকে। দু দেশের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৭টি মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (MoU) স্বাক্ষরিত হবে হাসিনার এই সফরে। সোমবারই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেখা করেন মুজিব-কন্যার সঙ্গে। এছাড়াও আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি দেখা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। মঙ্গলবার সকালে হাসিনা রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর স্মারকে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে গার্ড অব অনার দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জলবণ্টন চুক্তি
এই সফরে হাসিনা জলচুক্তি, রেল, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং তথ্য-সম্প্রচার বিষয়ক সাতটি চুক্তিতে সই করবেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল কুশিয়ারা নদীর জলবণ্টন। নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ও অসমের বরাক উপত্যকা হয়ে কুশিয়ারা নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নিম্ন অববাহিকা হওয়ায় বাংলাদেশে নদীর জল সেভাবে পৌঁছয় না। তাই তিস্তা সমস্যার কাঁটা না কাটলেও কুশিয়ারা নিয়ে বাংলাদেশ দুশ্চিন্তায় ছিল। এবার সেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিছুদিন আগেই হাসিনা বলেছিলেন, জলচুক্তি নিয়ে ভারতের উদার মনোভাব দেখানো উচিত।
আরও পড়ুন: Sheikh Hasina India Visit: পদ্মার ইলিশ ঢুকল বঙ্গে, হাসিনার ভারত সফরে ভেট বাংলাদেশের
দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত সহযোগিতা
ভারত ও বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সমঝোতাও করতে চলেছে। এছাড়াও নিরাপত্তা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বৈদেশিক বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ, পরিবহণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, জাহাজ শিল্প নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ার বিষয়টিও উঠে আসতে পারে আলোচনায়।
রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যা
মোদির সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও আলোচনা করতে পারেন। বাংলাদেশে এখন বিপুল সংখ্যায় রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু রয়েছে। হাসিনা চান তাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে ভারত সহযোগিতা করুক। এক সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেছেন, মানবিকতার খাতিরে আমরা ওদের আশ্রয় দিয়েছি, জীবনধারণের সুযোগসুবিধা দিয়েছি। কোভিডের সময় ওদের সকলকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, আর কতদিন ওরা এখানে থাকবে? ওদের নিয়ে দিনদিন নানান ধরনের সমস্যা বাড়ছে। ওদের কিছু লোক মাদক ব্যবসা, অস্ত্র পাচার, নারী-শিশু পাচারে জড়িয়ে পড়ছে। এভাবে কতদিন চলতে পারে, প্রশ্ন তুলেছেন হাসিনা।