কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার (Sukanya Mandal ) গ্রেফতারি (Arrested) নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। বুধবার রাতে দলের মুখপাত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, একটি মেয়ে। কিছুদিন আগে মা মারা গিয়েছেন। বাবা জেলে। এই অবস্থায় তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেফতার করতে হল? তাঁকে বাইরে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেত না?
কেষ্ট-কন্যার গ্রেফতারির পিছনে কোনও বড় দলের প্রতিহিংসার রাজনীতি রয়েছে কি না সেই প্রশ্ন তুলে কুণাল বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েই বলেই কি সুকন্যাকে গ্রেফতার করা হল। পাশাপাশি কুণাল এটাও জানিয়ে দেন, তদন্তের ব্যাপারে দল কিছু বলবে না।
এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP state president Sukanta Majumdar) বলেন, এটা তো হওয়ারই ছিল। আমি আগেই বলেছিলাম, বাবার মতোই মেয়ে বারবার কেন্দ্রীয় সংস্থার তলব পেয়ে হাজিরা এড়িয়ে ষাচ্ছেন। এরপর কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে আদর করে নিয়ে যাবে। সুকান্ত বলেন, এখন ইডির জেরায় হয়ত আরও অনেক তথ্য জানা যাবে অনুব্রতর সম্পর্কে।
আরও পড়ুন:Sukanya Mandal | Arrested | গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার কেষ্ট-কন্যা
ইডি সূত্রের খবর, আগামিকাল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তুলে সুকন্যাকে পাঁচ দিনের হেফাজতের নেওয়ার জন্য আবেদন জানাবে তারা। ইডির দাবি, শুধু তদন্তে অসহযোগিতাই নয়। অনুব্রত কন্যার বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের বহু নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদের কাছে। মাত্র দুতিন বছরের মধ্যে এক প্রাথমিক শিক্ষিকার সম্পত্তির পরিমাণ আকাশ ছোঁয়া হয়ে যায় কী করে, জেরায় তাও জানতে চাওয়া হবে সুকন্যার কাছে। এছাড়া সুকন্যার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, পান থেকে চুন খসলে তিনি নাকি কর্মচারীদের হুমকিও দিতেন।
এদিন বেলা ১১টায় সুকন্যাকে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু হাজিরা দেন বেলা ২টো নাগাদ। তারপর থেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তারপর সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় কেষ্ট-কন্যাকে। বাবার গ্রেফতারির আট মাস পর এদিন গ্রেফতার করা হল কেষ্ট কন্যাকে। গত বছরের ১১ অগাস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে সিবিআই গ্রেফতার করে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রতকে। তিনি এখন তিহার জেলে বন্দি। আগামিকাল বৃহস্পতিবার সুকন্যাকে আদালতে হাজির করা হবে। প্রসঙ্গত, গ্রেফতারের আটমাস পরেও অনুব্রতকে বীরভূম জেলা সভাপতির পদ থেকে সরায়নি তৃণমূল। যদিও নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতারের ছয়দিনের মাথায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রী এবং মহাসচিবের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।