ফের যোগীরাজ্যে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের বাস্তি জেলার ওই ঘটনায় তিনজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর প্রায় ১৩ সপ্তাহ কেটে গেলেও তাঁদের কারওকে এই ব্যাপারে গ্রেফতার করা হয়নি।
সূত্রের খবর, বাস্তি জেলার এসএসপির কাছে লখনউয়ের বাসিন্দা এক মহিলার তরফে অভিযোগ করা হয়, সোস্যাল মিডিয়ায় তাঁর সঙ্গে আলাপ হওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে কিছুদিনের মধ্যে যোগাযোগ বাড়তে শুরু করে। দুজনের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে আলাপ আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরে ওই ব্যক্তির আমন্ত্রণে তিনি বাস্তিতে যান।
নিগৃহিতার দাবি, তাঁর সঙ্গে আলাপ হওয়া ব্যক্তির নাম ডা: সিদ্ধার্থ। তিনি বাস্তির কাইলি হাসপাতালে কর্মরত একজন চিকিৎসক। গত ১০ অগাস্ট তিনি ওই চিকিৎসকের আমন্ত্রণে বাস্তিতে যান। কিন্ত সেখানে তাঁর অভিজ্ঞতা হয় মর্মান্তিক। ওই মহিলার অভিযোগ, বাস্তিতে যাওয়ার পর ওই চিকিৎসক তাকে কাইলি হাসপাতালের একটি হোস্টেলের ঘরে নিয়ে যান। আর সেখানেই তরুণীকে বলাৎকার করা হয়।
ঘটনার শেষ এখানেই নয়। অত্যাচারিত মহিলার অভিযোগ অনুযায়ী, এরপর ওই চিকিৎসক তাঁর ঘনিষ্ঠ আরও দুই চিকিৎসককে ফোন করে হোস্টেলের ঘরে ডেকে নেয়। তারপর ওই চিকিৎসকরাও নির্যাতিতা ওই তরুণী কে ধর্ষণ করে। পুলিশের স্থানীয় সার্কেল ইনস্পেক্টর জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। নিগৃহীতার বয়ান নিয়ম মেনে রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থাও হয়েছে। কিন্ত কারোকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। আর এখানেই উঠছে অভিযোগ। যোগীরাজ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অপদার্থতার অভিযোগ বারবার উঠে এসেছে।
UP Torture: যোগীরাজ্যে ফের নিগৃতীতা তরুণী, ঘটনার তিন মাস পরেও অভিযুক্তরা অধরা
Follow Us :