পাটনা: দিতে হবে টাকা। অন্যথায় করা যাবে না কোনও কাজ। রেলের ঠিকাদারের কাছে এমনই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রভাবশালী ১৩ জনের বিরুদ্ধে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে যে ওই অভিযুক্ত ১৩ জনের তালিকায় নাম রয়েছে একজন বিজেপি বিধায়কের। তাঁকেই ওই মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- সম্পর্কের টানাপোড়েন, বিবাহিত মহিলাকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা প্রেমিকের
ঘটনাটি পড়শি রাজ্য বিহারের। বাংলা লাগোয়া ওই রাজ্যের ধানবাদে রেললাইন পাতার কাজ হচ্ছিল। সেই কাজের ঠিকা পেয়েছেন রিয়াজ কুরেশি নামক এক ব্যবসায়ী। ওই ঠিকাদারের কাছেই বিপুল পরিমাণ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক ধুল্লু মাহাতোর বিরুদ্ধে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় হুমকি এবং কাজ বন্ধ করে দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন ঠিকাদার কুরেশি।
আরও পড়ুন- করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাটেনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আতসকাচে ৪৪ জেলা
ধানবাদ জেলার বারোরা থানায় ওই বিধায়ক এবং আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রিয়াজ কুরেশি। শুধু তাই নয়, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ করেছেন ওই রেলের ঠিকাদার। তোলা চেয়ে বারবার হুমকি এবং কাজ বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে বাঘমারা কেন্দ্রের বিধায়কের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশ সীমান্তে জঙ্গিহানায় শহিদ দুই BSF জওয়ান
বিহারের ধানবাদের সোনারদিহি থেকে শতাব্দী পর্যন্ত রেললাইন পাতার কাজ শুরু হয়েছে। এইচপিসিএল এবং এমবিপিএল জেভি-র অধীনে ওই কাজের বরাত পেয়েছে মডার্ন এন্টারপ্রাইজ। ওই সংস্থারই মালিক হলেন রিয়াজ কুরেশি। তিনিই বিধায়ক ধুল্লু মাহাতো, রামেশ্বর মাহাতো এবং আনন্দ-সহ আরও ১০জনের বিরুদ্ধে তোলাবাজি এবং হুমকির অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে।
গত বছর ওই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে ফের একবার এনডিএ-র পক্ষে রায় দিয়েছে বিহারের জনতা। প্রথমবারের জন্য রেকর্ড সংখ্যক বিজেপি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছে বিহারে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছে বিহারের বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিধায়ক ধুল্লু মাহাতো। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পালটা অভিযোগ করেছেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের পর এবার কংগ্রেস, সাইকেল চালিয়ে সংসদে গেলেন রাহুল
অন্যদিকে, বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হওয়ার জেরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ধুল্লু মাহাতোর অনুগামীরা। রাস্তা অবরোধ করে দেওয়া হয় টুন্ডু এলাকায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় রেললাইন পাতার কাজ। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে এবং রেললাইনের কাজ শুরু হয়।