শ্রীনগর: অনন্তনাগে (Anantnag) শেষ হল দীর্ঘতম সেনা ও জঙ্গির লড়াই। অবশেষে সাতদিন পর সাফল্য পেল সেনাবাহিনী। সেনার গুলিতে অবশেষে খতম শেষ লস্কর জঙ্গি। মঙ্গলবার সাত দিন পর উজাইর খানের মৃত্যুর সঙ্গে শেষ হয়েছে সন্ত্রাসী ও সেনার গুলি লড়াই।
উজাইর আহমেদ খান (২৮), অনন্তনাগের নাগাম কোকারনাগের বাসিন্দা। ২৬শে জুলাই ২০২২ সাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্বাস করে উজাইরের সঙ্গে দুজন বিদেশী সন্ত্রাসী ছিল। কাশ্মীরের এডিজি বিজয় কুমার নিশ্চিত করেছেন যে এলইটি কমান্ডার উজাইর খানকে হত্যা করেছে। এলইটি কমান্ডারা নিহত জঙ্গির, দেহ ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে। জঙ্গলে আর কোনও জঙ্গি গা ঢাকা দিয়েছে রয়েছে কি না তা নিশ্চিত হতে তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে। সেখানে মোট ২-৩ জন আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়েতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১ এসআইয়ের
সেনা বাহিনী সূত্রের খবর, তিনজন অফিসার এবং একজন সৈনিক শহীদ হয়েছেন। অনন্তনাগ জেলায় এনকাউন্টার চলাকালীন গুলিবিদ্ধ নিখোঁজ জওয়ানের দেহ মিলল অবশেষে। সেনাবাহিনী একটি পোড়া দেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। তার থেকে জডানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া ওই দেহ সেনাবাহিনীর জওয়ান প্রদীপের। আপাতত তাঁর দেহ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
অনন্তনাগ এনকাউন্টারের সময় নিখোঁজ হওয়া এক জওয়ানের মৃতদেহ জম্মু ও কাশ্মীরে পাওয়া গিয়েছে। কর্নেল মনপ্রীত সিং, ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার, মেজর আশিস ধোনচাক এবং ডেপুটি পুলিশ সুপার হিমায়ুন মুজামিল ভাট বুধবার অনন্তনাগে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে সময় প্রাণ হারিয়েছেন। জঙ্গি দমন অভিযান চলাকালীন সেনা (Indian Army) ও কাশ্মীর পুলিশের তিন আধিকারিকের মৃত্যু হয়। সেই সময় থেকেই নিখোঁজ ছিলেন এক জওয়ান। সোমাবার জঙ্গলের মধ্যে থেকে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, মৃত জওয়ানের নাম প্রদীপ। ফলে কাশ্মীরে জঙ্গিদের হাতে শহিদ হওয়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪।