কলকাতা: সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incidenrt) কাণ্ডে ধৃত সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে (Nirapada Sardar) অবিলম্বে জামিনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। মঙ্গলবারই তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দিতে হবে বলে নির্দেশ দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। জেলার পুলিশ সুপারকে ১ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছে আদালত। পুলিশের ভূমিকায় অবাক হয়েছে আদালত। ১০ ফেব্রুয়ারির অভিযোগের ভিত্তিতে ৯ ফেব্রুয়ারি এফআইআর করা হয়েছে নিরাপদর বিরুদ্ধে। আদালত প্রশ্ন তুলেছে, যে পুলিশ এভাবে একজন ভারতীয় নাগরিককে হেফাজতে নেয়, সেই পুলিশের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? কেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে না? কেন তাদের হেফাজতে নেওয়া হবে না, কে ওই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দেবে? আদালতের জিজ্ঞাসার উত্তরে নীরব প্রশাসন।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১০)
প্রাক্তন বিধায়কের বাঁশদ্রোণীর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদকে। নিম্ন আদালতে জামিন মিললেও দ্বিতীয় আর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সেই সূত্রে ১৭ দিন ধরে তিনি জেল হেফাজতে। সিপিএমের অভিযোগ, শেখ শাহজাহানের কুকীর্তি ফাঁস হয়ে যাবে বলেই মিথ্যা মামলায় নিরাপদকে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকায় সরব হয়েছিলেন। শাসকদলের প্রশ্ন, নিরাপদ যখন সন্দেশখালির বিধায়ক ছিলেন, তখন কেন তিনি শাহজাহান নিয়ে কথা বলেননি। গতকাল বসিরহাট মহকুমা আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে নিরাপদ দাবি করেন, ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিধানসভায় ধারাবাহিকভাবে সরব ছিলেন সন্দেশখালিতে তৃণমূলের অত্যাচার নিয়ে। তখনকার উপাধ্যক্ষ সোনালি গুহ সেই সময় বিধানসভায় তাঁর মাইক বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
অন্য খবর দেখুন