বাঁকুড়া: দশমীর পর বিষাদের সুর চারিদিকে। বছরভরের অপেক্ষার শুরু। মা দুর্গার প্রতিমা নিরঞ্জনের পরেই বিজয়া দশমীর (Bijay Dashami) শুভেচ্ছা জানানো হয়। কিন্তু দশমীর অন্য রকমের ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের উত্তরবাড় গ্রামে। সেখানে পুজোর শেষ দিনে বিসর্জনের পর গায়ে কাদা মাখিয়ে বিজয়ার আনন্দে মেতে উঠলেন আট থেকে আশি।
প্রাচীন রীতি মেনেই একে অপরের গায়ে কাদা মাখিয়ে বিজয়ার আনন্দে মেতে উঠলেন আট থেকে আশি।
কাদা খেলার মধ্য দিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময়। এমটা চল রয়েছে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার ঝগড়াই গ্রামে। প্রাচীন রীতি মেনেই বিজয়া দশমীতে ৭ পুকুরের জল ধরে কাদা তৈরি করে জল ও কাদা ছুড়ে বিজয়া শুভেচ্ছা বিনিময়ে মাতেন সবাই। প্রতি বছরের মতো কাদা খেলতে এ বারেও পার্শ্ববর্তী কুলসায়ের, নতুনগ্রাম, বৈতল, ঈষানপাড়া, কোলেপাড়া, বাবুয়াপাড়া, ময়নাপুর-সহ বেশ কিছু গ্রাম থেকে লোক এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে দুর্ঘটনার কবলে বাংলার বাসিন্দারা
ঝগড়াই গ্রামে রয়েছে ঝগড়াই ভঞ্জনি রূপী দেবী দুর্গা প্রাচীন পাথরের মুর্তি। প্রায় সাড়ে পাঁচশ বছরের প্রাচীন এখানকার দুর্গাপুজো। মল্লরাজা রঘুনাথ সিংহ এই দেবীর দর্শন পেয়ে একটি জমি সংক্রান্ত বিবাদ মিটিয়েছিলেন। সেই থেকে এই দেবীর পুজো শুরু করেছিলেন। লাঠিয়ালদের নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে উৎসব পালন করেছিলেন। সেই থেকে আজও বিজয়া দশমিতে এলাকার মানুষ কাদা খেলায় মেতে ওঠেন। আর এভাবেই দিনভর কাদা খেলার মধ্য দিয়ে বিজয়া দশমী পালন করছেন এলাকার সকল স্তরের মানুষ। জল ও কাদা খেলায় এক অনাবিল আনন্দে মেতে প্রাচীন ইতিহাসের ধারা বজায় রাখলেন মানুষজন।
আরও অন্য খবর দেখুন