শান্তিনিকেতন: কলকাতা টিভির খবরে সিলমোহর। এ বছরও হচ্ছে না শতাব্দীপ্রাচীন শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) পৌষমেলা। সোমবার যৌথ প্রেস (Press Release)বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা জানিয়ে দিল বিশ্বভারতী এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। এদিন বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের দীর্ঘ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই পৌষমেলা না করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে সময় অত্যন্ত কম। এতো কম সময়ের মোষয়ে পানীয় জল আলো ইত্যাদির ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না। এছাড়া অপরিছন্ন জলাশয়, মেলার ষ্টল বুকিংয়ের সফটওয়ার বিকল সহ একাধিক কারণ দেখানো হয়েছে মেলা না করার ব্যাপারে।
২০১৯ সালের শেষবার আয়োজন হয়েছিল মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত এই পৌষমেলার। ২০২০ সালে করোনা মহামারির জন্য মেলা বন্ধ ছিল। তারপর থেকেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে রাজ্য সকারের সংঘাত চরমে ওঠে। ২০২১ এবং ২০২২ সালে পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা বন্ধ করে দেন উপাচার্য। তা নিয়ে শান্তিনিকেতন সহ দেশের সর্বত্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। যদিও ওই দুই বছর বাংলা সংকৃতির মঞ্চ এবং বোলপুর পুরসভার যৌথ উদ্যোগে ডাক বাংলো মাঠে বিকল্প মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। গত বছর বীরভূমের জেলা শাসক বিধান রায় বলেছিলেন, বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ চায় বা না চায় পৌষমেলা হবেই।
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে ডাকা হয়নি তৃণমূলকে, দাবি মুখ্যমন্ত্রী
গত ৮ নভেম্বর বিদ্যুতের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় অস্থায়ী উপাচার্য হন কলাভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয় কুমার মল্লিক। শান্তিনিকেতনবাসীর আশা ছিল নতুন উপাচার্যের আমলে হয়ত মেলার মাঠেই পৌষমেলা হবে। মেলার দাবিতে পড়ুয়া শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট উপাচার্যকে সড়ক লিপিও দিয়েছিল। সোমবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মেলা নিয়ে বৈঠক হয়। উপাচার্য সহ কর্মসমিতির সদস্যরা বৈঠকে ছিলেন। এছাড়াও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার, সদস্যা সবুজকলি সেন, কালিকারঞ্জন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ বৈঠকের পর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়, পৌষমেলা এবারও হচ্ছে না।
দেখুন আরও খবর: