কলকাতা: মোদিকে (Narendra Modi) হারানোর আগে মোদির ছানাকে হারিয়ে দেখান। তিন রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় ফেরার পর সোমবার ধর্মতলার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঠিকমতো সমঝোতা হলে আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপি হারবে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এদিন বলেন, মোদিকে হারাতে হলে মমতাকে পাঁচবার জন্মগ্রহণ করতে হবে।
বিধানসভা চত্বরে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগে তৃণমূল পরিষদীয় দল বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে নালিশ করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর করে ওই বিধায়কদের বিরুদ্ধে। তাঁদের লালবাজারে হাজিরার জন্য তলবি নোটিস দেয় পুলিশ। তাকে চ্যালেঞ্জ করে সোমবারই আদালতে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। আদালতে সরকার ধাক্কাও খেয়েছে। এদিকে শুভেন্দুকে বিধানসভার চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ডও করেছেন স্পিকার। সব মিলিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিধানসভা উত্তাল হয়ে রয়েছে।
এদিন তিন রাজ্যে জয় এবং বিধায়কদের হেনস্থার ইস্যুতে ধর্মতলায় সভা করে বিজেপি। সেখানে শুভেন্দুই ছিলেন প্রধান বক্তা। বিধানসভা থেকে তিনি এবং দলের অন্য বিধায়করা মমতা চোর লেখা গেঞ্জি গায়ে সভায় আসেন।
এদিনের সভা থেকে মমতাকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, আসল চোরেরা জেলে যাবে। অপেক্ষা করে থাকুন চোরেদের রানি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) জেলে যেতে হবে। কেউ ছাড়া পাবে না। মোদিজি বলেছেন, একটা চোরকেও ছাড়ব না। পিএম পোষণের টাকা খেয়েছে তৃঁণমূল। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সিবিআই তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নতুন করে অশান্ত মণিপুর, মৃত ১৩
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে রবিবার ও সোমবার। তাতে দেখা গিয়েছে, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। ছত্তিশগড়ে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই রাজ্যে ভালো ফল করে বিজেপি। ছত্তিশগড়ের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলেছিল, কংগ্রেস সে রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরবে। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো।
এদিন শুভেন্দুর আক্রমণের লক্ষ্যই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই মুখ্যমন্ত্রী কিছুই জানেন না। এই মুখ্যমন্ত্রী না জানেন হিন্দি,না জানেন ইংরেজি, না জানেন ইতিহাস, না জানেন ভূগোল। আমি নন্দীগ্রামে মমতাকে হারিয়েছি। আমি যাতে বিধানসভায় তাঁকে চোর বলতে না পারি, যাতে তৃণমূলের চুরির বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারি, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্পিকার আমাকে বহিষ্কার করেছে। এই সব করে আমাকে এবং বিজেপিকে দমানো যাবে না।
আরও অন্য খবর দেখুন