কলকাতা: ইন্ডিয়া জোটের (INDIA Alliance) বৈঠকে (Meeting) তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সোমবার বিধানসভায় এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আগামী ৬ ডিসেম্বর দিল্লির বাসভবনে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। উল্লেখ্য, এদিনই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বিরোধীদের ঠিকমতো আসন সমঝোতা হলে আগামী লোকসভা ভোটে পরাজিত হবে বিজেপি। রবিবার মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তারপরই সেদিনই কংগ্রেস সভাপতি ৬ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া জোটের সভা ডাকার কথা ঘোষণা করেন।
ভোটার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর তৃণমূল সহ ইন্ডিয়া জোটের প্রায় সব শরিকই কংগ্র্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। পাঁচ রাজ্যে ভোট ঘোষণার অনেক আগে থেকেই তৃণমূল জেডিইউ সহ জোট শরিকরা আসন সমঝোতার আলোচনা শুরু করতে বলেছিল কংগ্রেসকে। কিন্তু কংগ্রেস তখন এই শরিকদের কথা কানে তোলেনি। তাঁদের যুক্তি ছিল পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটার পর ইন্ডিয়া জোট নিয়ে উঠেপড়ে লাগা হবে। কিন্তু ভোটের ফলাফল কংগ্রেসকে তো বটেই, ইন্ডিয়া জোটকেই হতাশ করেছে। যদিও কোনও দলই সেই হতাশা প্রকাশ্যে ব্যক্ত করেনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীত মামলা, কড়া পদক্ষেপে না আদালতের
সোমবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বলেছেন, এখনও সময় আছে ঠিক মতো আসন সমঝোতা হলে লোকসভা ভোটে বিজেপিজিততে পারবে না। এর পাশাপাশি মমতার মন্তব্য, তিন রাজ্যের ভোটার ফল বিজেপি সাফল্য নয়, কংগ্রেসের ব্যর্থতাকেই প্রমাণ করেছে। তাঁর আরও অভিযোগ, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটেও আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে কংগ্রেস আত্মম্ভরিতায় ভুগেছে। শরিকরা মনে করছে, কংগ্রেসকেও আত্মসমালোচনা করতে হবে এর জন্য। গতকালই জেডিইউ-এর কেসি ত্যাগী, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লার মতো ইন্ডিয়া জোটের নেতারা কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেন। ওমর আবদুল্লা ইন্ডিয়া জোটের স্থায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের ৬ ডিসেম্বরের বৈঠকে আমন্ত্রণ না জানানোর যে অভিযোগ করেছেন তা বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।
দেখুন আরও খবর: