Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeCurrent Newsএরিক হবসবমের জন্য কয়েক লাইনের এপিটাফ (১৯১৭-২০১২)

এরিক হবসবমের জন্য কয়েক লাইনের এপিটাফ (১৯১৭-২০১২)

Follow Us :

কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : শেষ লেখা ‘দ্য গার্ডিয়ানে’। বন্ধু ডরোথি ওয়েডেরবার্নের মৃত্যুতে কলম হাতে নেওয়া। ওটাই এরিক হবসবমের শেষ প্রকাশিত লেখা। সেই কলম থেমে গেল একদিন। ইতিহাস নিজেই নিজের এপিটাফ লিখে ফেললেন। আজকের দিনেই ২০১২ সালে চলে গেলেন কিংবদন্তি ঐতিহাসিক এরিক হবসবম।

শুরুটা কীভাবে হয়েছিল? উনিশ শতকের মাঝামাঝি যখন তিনি ভাবছেন যুগান্তরের ইতিহাস লিখে ফেলার কথা। সময়কে যখন ভাগ করে নিচ্ছেন হবসবম। ট্রিলজি লেখার শুরুয়াতে। ‘দ্য এজ অফ রেভুলিউশন’ প্রকাশিত হয় ১৯৬২ সালে। ইতিহাসের বই লেখার এক নতুন জন্মদিন। সেই বই সমাজ আর সময় থেকে তুলে এনেছিল এমন সব শব্দ, যা আজকের সময়কেও ক্রমাগত কাটাছেঁড়া করতে থাকে। কারখানা, শিল্প, শিল্পপতি, মধ্যবিত্ত, শ্রমজীবী, পুঁজিবাদ, সমাজবাদ এই শব্দ গুলো তো ছিলই। একই সঙ্গে পাঠককে ধাক্কা মারে আরও কত তীক্ষ্ণ ফলার মত শব্দ। হরতাল, প্রোলেতারিয়েত, জাতীয়তাবাদী, ক্রাইসিস বা সংকট। তাঁর লেখায় ইতিহাসের পাঠক পরিচিত হলেন লিবারল, কনজারভেটিভ বা গোঁড়া, এমনকি জার্নালিজম এই সব শব্দের সঙ্গেও।

আরও পড়ুন – ফরাসি দেশের নাৎসি-ক্যাম্পে এক ভারতীয় কমরেডের নাম মাধবন

এরিক হবসবমের লেখা বই  ‘দ্য এজ অফ এম্পায়ার’

আজকের সময়ে দাঁড়িয়েও এই সব শব্দ একেবারে অব্যর্থ, অনিবার্য। শুধু সালতামামি আর রেফারেন্স টেনে লেখা নয়। হবসবম পাঠকের কান টেনে পড়িয়ে নিলেন সময়ের ভিতরের রাজনীতি আর আর তাকে ভর করে এগিয়ে চলা মানুষের জীবনকে। ‘দ্য এজ অফ রেভুলিউশন’-এর ভূমিকায় তিনি কী লিখছেন? লিখছেন, তিনি সময়ের একেবারে গভীরে নেমে ফ্যদমের মত বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন দিন বদলের যুগান্তর। ১৭৮৯-১৮৪৮। পৃথিবীর ইতিহাসের এক মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া অধ্যায়। যন্ত্রনির্ভর উৎপাদন আর মানুষের ঘাম ঝরানোর মধ্যে যে সম্পর্ক, তাকে নতুন করে বোঝার সময়। মনে পড়ে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের সেই চিরায়ত সংগীত। পশ্চিমের বালাড থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা। অনুবাদও বটে। ‘নাম তার ছিল জন হেনরি, ছিল যেন দুরন্ত এঞ্জিন/ হাতুড়ির তালে তালে শিল্পী খুশি মনে কাজ করে রাতদিন।’… খেটে মানুষের প্রতিদিনের শ্রম তার সঙ্গে মেশিনপ্রকল্পের বিরোধ নাকি সহাবস্থান? এরিক হবসবম লিখলেন সেই ঘুম ভাঙার গান।

এরিক হবসবমের লেখা বইয়ের পাতা

আরও পড়ুন – কুঠারে ছিন্নভিন্ন দেহ গুলো আজও প্রশ্ন তোলে বন-শহিদের স্বীকৃতি সত্যিই মিলেছে

পুরনো কথা ফিরি। বন্ধু বিয়োগে হবসবমের লেখায়। শোকবার্তা লিখছেন অথচ কী সরল। কী আবেগহীন। ঝরঝরে সাবলীল ভাষায়। তার মধ্যেও রয়েছে কাছের মানুষের ছেড়ে যাওয়ার বেদনা। ইতিহাসেকেও সেভাবেই অনুধাবন করেছেন এরিক হবসবম।

RELATED ARTICLES

Most Popular