হাঁসখালি: হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালী এবং প্রভাকর পোদ্দারকে শনিবার ক্যাম্প অফিসে নিয়ে আসে সিবিআই। কৃষ্ণনগরের অস্থায়ী ক্যাম্পে এনে চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। এদিন নির্যাতিতার বাবা-মা ও জ্যাঠাকেও কৃষ্ণনগর অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে পেয়ে শুক্রবারই হাঁসখালি পৌঁছয় সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল। সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত চালান তাঁরা। প্রথমে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর পৌঁছন শ্মশানে। সেখান থেকে তারা তদন্তের জন্য পোড়া কাঠ সংগ্রহ করেন। এরপরেই তাঁরা পৌঁছন অপর অভিযুক্ত প্রভাকর পোদ্দারের বাড়িতে। সেখানে উঠে আসে রঞ্জিত নামে আরও এক যুবকের নাম।
অভিযুক্ত রঞ্জিত মল্লিক পলাতক। তার বাড়ি ইতিমধ্যেই সিল করেছে সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদল। খোঁজ চলছে তৃতীয় অভিযুক্তের। তদন্তের অগ্রগতির জন্য শনিবার পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই। সোহেল এবং প্রভাকরকেও চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ।
আরও পড়ুন: WB Weather Update: ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই আসছে মরশুমের পয়লা কালবৈশাখী, জেনে নিন কোন কোন জেলায় বইবে ঝড়
গত ৪ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালির শ্যামনগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমর গয়ালীর ছেলে সোহেল গয়ালীর বিরুদ্ধে। তীব্র যন্ত্রণায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য ৫ এপ্রিল ওই নাবালিকার বাবা-মাকে চাপ দিয়ে শ্মশানে দাহ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে যাতে কোনও প্রমাণ না পাওয়া যায় সেই কারণে জল দিয়ে গোটা শ্মশান ধুয়ে ফেলা হয়।