মেদিনীপুর: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দলীয় কর্মীরই বাড়ি তৈরি আটকে গিয়েছে। ঘটনাটি মেদিনীপুর শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের। কাউন্সিলরের স্বামী তথা তৃণমূল জেলা সভাপতির অনীহায় আবাস যোজনার বাড়ি হচ্ছে না বলে অভিযোগ দুই উপভোক্তার। এ ব্যাপারে কাউন্সিলরের স্বামীর বক্তব্য, আবাস যোজনার বাড়ি করা নিয়ে কাউন্সিলরের কোনও ভূমিকা থাকে না, সেই টাকা সরাসরি উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে ঢোকে। পুরসভা এটা দেখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহরের ২২নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত মির্জাবাজার সুকান্তপল্লি এলাকায় আবাস যোজনায় দুই উপভোক্তার নাম উঠলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তা নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়। বাড়ি তৈরিতে উদ্যোগী না-হওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার উপর। অভিযোগ, এই এলাকার আরতি শ্যামল ও পঞ্চানন মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে পুরবোর্ড তৈরির আগেই আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য দুর্গাপুজোর আগে প্রথম দফার ৫০ হাজার টাকা ঢুকেছে। কিন্তু সেই বাড়ির কাজ এখনও শুরু হয়নি।
আরও পড়ুন: India Covid Update: ক্ষণিকের স্বস্তি? দেশে কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার
উপভোক্তাদের অভিযোগ, পুরসভার চেয়ারম্যান পাঠাচ্ছেন কাউন্সিলরের কাছে, আর কাউন্সিলরের স্বামী বলছেন তিনি কিছু জানেন না। তিনি করতেও পারবেন না, বাধাও দেবেন না। উপভোক্তারা জানান, এখানে আগে যিনি তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন, তাঁর নাম রাধারানি বেরা। তাঁরা তাঁর হয়ে কাজ করতেন। কিন্তু, তিনি এবার তৃণমূলের টিকিট পাননি। বর্তমান জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার স্ত্রী মৌসুমি হাজরা তৃণমূলের টিকিটে জয় লাভ করেন। আর এই কারণেই তাঁদের বাড়ি তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Lakshmir Bhandar BGBS: বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে লক্ষীর ভান্ডারের টাকা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী
অভিযোগ নিয়ে কাউন্সিলরের স্বামী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, এতে কাউন্সিলরের কোনও ভূমিকা নেই। পুরো বিষয়টা পুরসভার এক্তিয়ারে। উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা সরাসরি ঢোকে। অন্যদিকে, পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের বক্তব্য, বাড়ি তৈরির টাকা এসেছে। সময়মতো বাড়ি তৈরি হবে। ভোট এবং বোর্ড গঠনের জন্য দেরি হচ্ছে।