মুম্বই: সলমনকে খানকে (Salman Khan) হত্যার হুমকি (Threat) দিয়ে পুলিশের জালে অভিযুক্ত। দিনকয়েক আগেই ইমেল (E-mail) মারফত সলমন খানকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। গোটা ঘটনায় নড়েচড়ে বসে মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police) প্রশাসন। নিরাপত্তা (Security) বাড়ানো হয় সলমন খানের। যোধপুর ও মুম্বই পুলিশ যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় তল্লাশি। অবশেষে বান্দ্রা রেল স্টেশন থেকে ধাকড় রাম বিষ্ণোই নামে ২১ বছরের ওই তরুণকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়। রবিবার তাকে মুম্বই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিনেতার অফিসে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও তাঁর দলবলের তরফে একটি ইমেল করা হয়। সূত্রের খবর, রোহিত গর্গ নামে জনৈক ব্যক্তি মেলটি পাঠায়। তাতে লেখা ছিল, মুসেওয়ালার থেকেও খারাপ পরিণতি হবে। পাশাপাশি দাবি ছিল, কানাডার গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার সলমন খানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চায়। এমনকী সম্প্রতি লরেন্স বিষ্ণোই এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছে, সলমন খানকে খুন করা-ই তার জীবনের লক্ষ্য। এই ঘটনার পরই বান্দ্রা থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। মুম্বই ও যোধপুর পুলিশের যৌথ উদ্যোগে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুন:South Korea | তিন বা ততোধিক সন্তানের বাবা হলে, মিলিটারিতে বাধ্যতামূলক যোগদান থেকে ছাড়!
এর আগে পাঞ্জাবের সদর মনসা থানার পুলিশও ধাকড় রাম বিষ্ণোইয়ের খোঁজে যোধপুর পৌঁছেছিল। ওই তরুণই গায়ক সিধু মুসেওয়ালার বাবাকে ইমেলের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। তাই পাঞ্জাব পুলিশের ওয়ান্টেডের তালিকাতেও ছিলেন এই ধাকড় রাম। পুলিশ অভিযুক্তের অপরাধমূলক রেকর্ড খতিয়ে দেখে জানতে পারে, ধাকড় রাম বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে অস্ত্র আইনে যোধপুরের সর্দারপুরায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়। সলমন খানের মামলায় তাকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে মুম্বই পুলিশ ধৃতকে হেফাজতে নিয়েছে।
এদিকে লরেন্স তথা বিষ্ণোই সমাজের কাছে ক্ষমা চাইলেন সলমনের ‘বোন’ বলে নিজেকে দাবি করা রাখি সাওয়ান্ত। এক ভিডিয়োতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমি সলমন খান ভাইয়ের তরফে আপনাদের থেকে ক্ষমা চাইছি। ওঁকে কিছু করবেন না। উনি খুব ভাল মানুষ। গরীবদের জন্য অনেক কিছু করেন। যারা সলমন খানের বিপক্ষে রয়েছে তাঁদের একটাই কথা বলতে চাই, উনি কী করেছেন। কেন আমার ভাইয়ের পিছনে লেগেছ? আমার মায়ের জন্য উনি অনেক কিছু করেছেন।