Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeCurrent Newsঅপারেশন ‘জুগনু’ রচপালকে বাহিনীর কাছে স্মরণীয় রাখবে

অপারেশন ‘জুগনু’ রচপালকে বাহিনীর কাছে স্মরণীয় রাখবে

Follow Us :

সাহস ছিল তাঁর কর্ম জীবনের নিত্য সঙ্গী। তবে ৯৩ সালে বালক ব্রহ্মচারীর মৃতদেহ সৎকারের ঘটনায় রচপাল সিংকে (Rachpal Singh) সারা জীবন বাহিনী স্মরণে রাখবে। ১৯৭৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার রচপাল তাঁর সাহসের জন্যই বাম জমানায় সিপিএম নেতার প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। ডিসি সেন্ট্রাল থাকাকালীন এসইউসি মহাকরণ অভিযানে গুরুতর জখম হয়ে বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন। তাঁকে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী।
জ্যোতি বসু রচপালকে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার পদে বসিয়েছিলেন। এল সেই ক্ষণ। ৯৩ সালে ৫ মে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় সন্তান দলের প্রতিষ্ঠাতা বালক ব্রহ্মচারীর। বালক ব্রহ্মচারীর ভক্ত এবং শিষ্যকূল মানতে চাননি তাঁদের গুরুর মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা বলেছিলেন, বালক ব্রহ্মচারী ‘নির্বিকল্প সমাধি’তে রয়েছেন। বালকের মৃতদেহ তাঁরা সুখচরের (পানিহাটি) গঙ্গার পাড়ের আশ্রমে বরফের ওপরে শায়িত রেখেছিলেন। সারা রাজ্য থেকে সন্তান দলের সদস্যরা গুরুর নির্বিকল্প সমাধিতে থাকা দেখতে আসছিলেন।

আরও পড়ুন : প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রচপাল সিং

এদিকে মৃতদেহের পচন শুরু হওয়ায় স্থানীয় লোকজন এবং পানিহাটি পুরসভার তরফে আপত্তি জানানো শুরু হয়। কিন্তু সন্তান দলের সদস্যরা তাতে কর্ণপাত করছিলেন না। অবশেষে বালকের দেহ সৎকারের অপারেশনের দায়িত্ব পড়ে মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর ওপর। সুভাষ চক্রবর্তী রচপালকে নিয়ে সেই অপারেশনের পরিকল্পনা করেন। নাম দেওয়া হয় অপারেশন ‘জুগনু’ (Jugnu)। ৩০ জুন রাত ২টো নাগাদ রচপাল সাড়ে ৪০০ পুলিশ নিয়ে সুখচরের আশ্রম ঘিরে ফেলেন। পুলিশকর্মীদের নিয়ে বালকের শিষ্যদের বাধা টপকে ভেতরে ঢোকেন রচপাল। অপারেশনের প্রতিটি মুহূর্তের খবরাখবর কন্ট্রোল রুমে বসে নিচ্ছিলেন আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) হায়দার আজিজ সফি।
বালকের মৃতদেহ একটি বিল্ডিংয়ের ৩ তলায় রাখা ছিল। সেই বিল্ডিংয়ে ঢোকার সময় পুলিশের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয়। সন্তান দলের প্রায় ২ হাজার সদস্য তখন আশ্রমে উপস্থিত ছিল। ভক্তদের বাধা টপকে রচপাল মৃতদেহ বার করতে ৩ তলায় চলে যান। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় এক মহিলা ভক্ত রচপালের থাইয়ে ত্রিশূলের আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থাতেই রচপাল মৃতদেহ বার করে পুলিশের নিয়ে যাওয়া শববাহী গাড়িতে তুলে দেন। বাধা দেওয়ায় ৮২৭ জন ভক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রচপালকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বালকের মৃতদেহ সৎকারের অপারেশন সাফল্যের সঙ্গে করার পরবর্তীকালে সুভাষ চক্রবর্তী প্রায়ই সময়ই বলতেন, “সুভাষ চক্রবর্তী পারে না এমন কোনও কাজ নেই। অপারেশন ‘জুগনু’ থেকে অপারেশন ‘সানসাইন’। সুভাষ চক্রবর্তী সবই পারে।” তাঁর সাফল্যের অন্যতম কারিগরের নাম রচপাল সিং।

RELATED ARTICLES

Most Popular