ওয়াশিংটন: চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হল টুইটারের (Twitter) ডেপুটি জেনারেল কাউন্সেল জেমস বেকারকে (James Baker)। তাঁর ম্যানেজমেন্টে তথ্য চাপা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বেকারকে বরখাস্ত করার কথা টুইট করে জানালেন এলন মাস্ক (Elon Musk)। তিনি লেখেন, মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চাপা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, তাই বেকারকে সংস্থা থেকে বের করা হল।
গত সপ্তাহেই সাংবাদিক ম্যাট তাইব্বির (Matt Taibbi) সঙ্গে যৌথভাবে ‘টুইটার ফাইলস’ (Twitter Files) প্রকাশ করেছিলেন মাস্ক। টুইটারের সঙ্গে রাজনৈতিক ক্ষমতাবানদের অভ্যন্তরীণ যোগসূত্র খোলসা করা হয় এই ফাইলগুলিতে। ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Elections) সময় হান্টার বাইডেনের (Hunter Biden) ল্যাপটপ বিতর্ক নিয়ে তথ্য চেপে দেওয়া হয় বলেও জানানো হয়েছে। হান্টার হলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) দ্বিতীয় ছেলে।
আরও পড়ুন: South Korea: মা হতে চাইছেন না দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েরা, কিন্তু কেন, জেনে নিন
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় বাবা-ছেলে দুর্নীতি করেছিলেন এমন একটি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই দুর্নীতির নিদর্শন ছিল হান্টারের ল্যাপটপে যা কোনওভাবে ফাঁস হয়ে যায়। সেই সম্পর্কিত তথ্যই চেপে গিয়েছে টুইটার বলে প্রকাশিত করেছে ‘টুইটার ফাইলস’। ল্যাপটপের তথ্য হ্যাক হয়েছে কি না সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে ভূমিকা নিয়েছিলেন বেকার, একথা জানান তাইব্বি।
একটি মেরামতির দোকানে ল্যাপটপ দিয়ে গিয়েছিলেন হান্টার, বলা ভাল পরিত্যাগই করেছিলেন। সেই ল্যাপটপ থেকে ইমেল উদ্ধার করে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম যাতে প্রমাণিত হয় ইউক্রেনে বায়ো-কেমিক্যাল অস্ত্র তৈরির পয়সা জোগাতে সাহায্য করেছিলেন বাইডেন-পুত্র। এই দাবি আগেই করেছিল রাশিয়া।
বৈদেশিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বার বার রিপাবলিকান এবং অন্যান্য দলের কটাক্ষ ও সমালোচনার শিকার হয়েছে বাইডেন শিবির। হান্টারের ইমেল ফাঁস হওয়ার পর এই নিয়ে হই চই বেড়ে যায় অনেকটাই। তবে এবার ‘টুইটার ফাইলস’ প্রকাশিত বিতর্ক নস্যাৎ করে দিয়ে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এসব রদ্দি খবর।