ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) খুলনা জেলার (Khulna District) মাদারিপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় ঢাকাগামী (Dhaka) ইমাদ পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আজ, রবিবার সকালে পদ্মা সেতুর (Padma Setu) এক্সপ্রেসওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহণের বাসের চালক পদ্মা সেতুর আগে শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি রাস্তা থেকে নীচে পড়ে যায়। বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুজন মারা যান।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi । ভারত জোড়ো যাত্রার মন্তব্যকে ঘিরে, রাহুলের বাড়িতে পুলিশ
শিবচর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে।
হাইওয়ে পুলিশ, দমকল বাহিনী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোর চারটের দিকে খুলনার ফুলতলা থেকে বাসটি ছাড়ে। ভোর ৫টা ৫ মিনিটে খুলনার সোনাডাঙা থেকে বাসটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হয়। বাসটির চালক সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি রেলিং ভেঙে পাল্টি খেয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এ পর্যন্ত ১৬ জনের দেশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কুতুবপুর এলাকার এক বাসিন্দা হায়দর আলি বলেন, পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে কমবেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে হাইওয়ের রেলিং ভেঙে বাস খাদে পড়ে এত প্রাণহানির ঘটনা আগে ঘটেনি। এটি এক্সপ্রেসওয়েতে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। উদ্ধারকর্মী চন্দন রায় বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে এর আগেও বাস, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় পড়েছে। কিন্তু, এবারই প্রথম বাস খাদে পড়ে ১৬ জন মারা গেলেন। এক্সপ্রেসওয়েতে চালকরা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালান, যা এখানে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা