কলকাতা : প্রিয়জনের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। তাই মৃত্যুর পরও দেহ আগলে বসে রয়েছেন পরিজনেরা। ২০১৫ সালে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল জেমসলং সরণির রবিনসন স্ট্রিটে। ফের সেই ঘটনার ছায়া পড়ল কলকাতার বাগবাজার চক্ররেল সংলগ্ন এলাকায়। গত কয়েকমাস থেকেই দেখা যাচ্ছিল না বৃদ্ধ দিগ্বিজয় বোসকে। স্থানীয় মানুষের সন্দেহ হতে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। তারপর ঘরে তল্লাশি চালিয়ে জানা যায়, বৃদ্ধের মৃতদেহ আগলে রয়েছেন স্ত্রী ও মেয়ে।
মৃত ওই বৃদ্ধের নাম দিগ্বিজয় বোস। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। বাগবাজার চক্ররেল সংলগ্ন ক্ষীরোদ মঞ্জিল নামে একটি বাড়িতে নিজের পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরেই তাঁকে ওই এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। এভাবে কয়েক মাস কেটে গেলে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। প্রথমে তাঁরা যান কাউন্সিলর বাপি ঘোষের কাছে। তিনি পুরো বিষয়টি জানার পর পুলিশে খবর দিতে বলেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ ওই বাড়িতে আসে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। কিন্তু সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায়, দিগ্বিজয় বাবুর কঙ্কালসার দেহবাশেষ নিয়ে বসে আছেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামী বেঁচে আছেন। এরপর মা ও মেয়ের সঙ্গে পুলিশের বেশ কিছুটা বচসা হওয়ার পর দিগ্বিজয় বোসের দেহ বাড়ি থেকে বের করে আনে পুলিশ। প্রতিবেশীদের দাবি বেশ কিছু দিন আগেই দ্বিগবিজয় বাবু মারা গেছেন। তাই কয়েকমাস ধরেই ওই বৃদ্ধকে আর দেখা যাচ্ছিল না।