কলকাতা: তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠা মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ সেই রায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে আদালতে গেলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী৷ শুক্রবার পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় এবং বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আদালতের দ্বারস্থ হন৷ গত ৮ অগাস্ট পুরনো একটি জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যের ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি ইডিকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ৷
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি কয়েকগুণ করে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ওই জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়৷ কারও কারও সম্পত্তি ১০০০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে৷ কোন জাদুমন্ত্রে তা সম্ভব হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা দরকার বলে জানান মামলাকারীদের আইনজীবী শামিম আহমেদ৷ এরপরই এই মামলায় ইডিকে পক্ষ করার নির্দেশ দেয় আদালত৷
যে ১৯ জন নেতাদের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাদের অধিকাংশ তৃণমূল নেতা৷ তারা হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ফিরহাদ হাকিম, গৌতম দেব, অর্জুন সিং, মলয় ঘটক, জাভেদ খান, ব্রাত্য বসু, মদন মিত্র, শিউলি সাহা, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ৷ আদালতের নির্দেশের পরই সাংবাদিক সম্মেলন করেন ফিরহাদরা৷ সাংবাদিক সম্মেলনে ফিরহাদ দাবি করেন, রোজতার করা কোনও অন্যায় নয়৷ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একতরফা বলা হচ্ছে৷ সুযোগ পেলেই অপমান করা হচ্ছে৷’ তৃণমূল দাবি করে, অর্ধসত্য প্রচার করা হচ্ছে৷ ওই তালিকায় অনেক সিপিএম নেতার নামও রয়েছে৷ কিন্তু কেবল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা চোর এমনটা প্রচার করা হচ্ছে৷