উত্তরাখণ্ডে ১৯ বছরের তরুণী অঙ্কিতা ভান্ডারির খুনের ঘটনার পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও সামনে আসেনি। অঙ্কিতার পরিবারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অঙ্কিতার শেষকৃত্য তাঁরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পেলে সম্পন্ন করবেন না। এনিয়ে দিনভর বিস্তর জলঘোলা হয়। এরপর রবিবার বিকেলের দিকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন অঙ্কিতার বাবাকে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিয়ে জানান, অঙ্কিতাকে খুনের ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিটকে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা চলবে।
মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির এই আশ্বাসের পরে মর্গ থেকে মেয়ের মৃতদেহ নিতে সম্মত হন অঙ্কিতার পরিবারের সদস্যরা। মেয়ের মরদেহ নিতে মর্গে আসেন অঙ্কিতার বাবা। এরপর রবিবার বিকেলে শ্রীনগরে অলকানন্দা নদী পারের শ্মশানঘাটে অঙ্কিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
এদিন অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মর্গের বাইরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষ। একই দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। পাশাপাশি, অঙ্কিতা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা বিনোদ আরিয়া ছেলে পুলকিত আরিয়ার মালিকানাধীন রিসর্টটি কেন ভেঙে দেওয়া হল অঙ্কিতার পরিবারের তরফে এব্যাপারেও প্রশ্ন উঠছে। উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনের নির্দেশেই রিসর্ট ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে্ অভিযোগ। এব্যাপারে অঙ্কিতার বাবা বলেছেন, তাঁর মেয়ের খুনের ঘটনার তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও রিসর্ট ভেঙে ফেলা হল কেন? প্রকারান্তরে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুলেছেন অঙ্কিতার বাবা।
অঙ্কিতা ভান্ডারি খুনের ঘটনার তদন্ত করছে সিট। সূত্রের খবর, সিট খতিয়ে দেখছে অঙ্কিতার হোয়াটস অ্যাপ। কাদের সঙ্গে অঙ্কিতা হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ চালাচালি করেছেন তাও খতিয়ে দেখছেন সিটের গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, অঙ্কিতা খুনের ঘটনায় বিজেপি নেতার পুত্র পুলকিত এবং রিসর্টের ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের ১৪ দিনের জন্যে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিটের তদন্তকারী দলের প্রধান ডিআইজি পিআর দেবী জানিয়েছেন, অঙ্কিতা খুনের ঘটনায় রিসর্টের সমস্ত কর্মীকে জেরা করার জন্যে স্থানীয় থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, অঙ্কিতার অটোপসি রিপোর্টে জানানো হয়েছে জলে ডুবে অঙ্কিতার মৃত্যু হয়েছে। অঙ্কিতার শরীরে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, যা থেকে প্রমাণিত খুনের আগে অঙ্কিতাকে মারধর করা হয়েছে।