ভাটপাড়া পুরসভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠেছে। বুধবার পুরসভার বৈঠক চলাকালীনই শাসকদলের কাউন্সিলররা গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ১০ নম্বর বোর্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের উপর আচমকাই চড়াও হন তৃণমূলেরই দুই কাউন্সিলর তরুণ সাউ এবং অভিমুন্য তিওয়ারি। পরে দুই গোষ্ঠীর অন্যান্যরাও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। গুরু তর জখম সত্যেন স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি। সত্যেনকে হাসপাতালে দেখে আসার পর দলীয় কাউন্সিলরদের উপর ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা সাংসদ অর্জুন সিং। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, দলের উচ্চতর নেতৃত্বকে সব জানানো হয়েছে নেতৃত্ব ব্যবস্থা জগদ্দল ভাটপাড়ায় যা হয় তাই হবে আর কী। অর্জুনের এই কথা বলার অর্থ, আগামী দিনে ফের তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে ভাটপাড়া।
এমনিতেই জগদ্দল, ভাটপাড়া প্রভৃতি এলাকায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। ভাটপাড়া পুরসভাতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে নাগরিক পরিষেবা প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। তার মধ্যে বুধবার পুরবৈঠকেই তৃণমূল কাউন্সিলররা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল। অর্জুনও এ ব্যাপারে যথেষ্ট বিরক্ত। তিনি বলেন, অত্যন্ত দুৰ্ভাগ্যজনক ঘটনা। যে সত্যেন দীর্ঘদিন সিপিএমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে ওই পরিবার বহুবার সিপিএমের হাতে আক্রান্ত হয়েছে, তাকেই করোনাকালে সৃষ্ট তৎকাল তৃণমূলের হাতে মার খেতে হল। এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে। জেলা নেতৃত্ব ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলেও অর্জুনের আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: Kurmi | অভিষেকের কনভয় হামলার সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ কুড়মি সমাজ
এদিন দুপুরে ভাটপাড়ায় পৌরসভার বোর্ড মিটিং ছিল। সেই মিটিংএর আগে কাউন্সিলর সত্যেন রায়কে দেখে হঠাৎ তাঁর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে অপর এক কাউন্সিলর তরুণ সাউ-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। বর্তমানে সত্যেন রায় স্থানীয় হাসপাতলে ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু ঘটনা প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও কাউন্সিলরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেনি। ঘটনাটি সম্পর্কে পুরসভার চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, ঘটনা যখন ঘটেছে তখন আমি ছিলাম না। কিন্তু এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে কাউন্সিলর তরুণ সাহা বলেন, এদিন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ঘটনা নয়। সত্যেন রায় নিজের জামা নিজে ছিড়েই মিথ্যে অভিযোগ করছে।