অযোধ্যা: এবার ব্রিজভূষণের পাশে দাঁড়ালেন অযোধ্যার (Ayodhya) সাধুসন্তরা। পকসো আইন সংশোধনের দাবিতে ৫ জুন অযোধ্যায় সমাবেশের ডাক দিয়েছেন ওই সাধুরা। বিজেপি সাংসদ তথা কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তার (Sexual Harassment) অভিযোগ তুলে তাঁর গ্রেফতারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন-বিক্ষোভ করছেন কুস্তিগিররা। এরই মধ্যে কয়েকদিন আগেই পকসো আইনে সংশোধনের দাবি তোলেন ব্রিজভূষণ। সাধুসন্তদের নেতৃত্বে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে পকসো আইন বদলের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এবার ব্রিজভূষণকে সমর্থনে এগিয়ে এলেন অযোধ্যার সাধু সমাজের একটা বড় অংশ। ওই দিন অযোধ্যায় জড়ো হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পকসো আইন সংশোধনের দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেবেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, পকসো আইনের বেশ কিছু আইনি ধারার কারণে জনপ্রতিনিধিদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। পকসো আইনের বিভিন্ন উপধারায় নাবালিকাদের দিকে তাকানো বা তাদের স্পর্শ-সহ আরও অনেক বিষয় আছে, যেগুলির কারণে জনপ্রতিনিধিদের ফাঁসানো অনেক সহজ বলে মন্তব্য করেন মহন্ত মিথিলেশ নন্দিনী শরণ।
উল্লেখ্য, অযোধ্যার রাম কথা পার্কে ৫ জুন ‘চেতনা মহাসভা’র ডাক দিয়েছেন ব্রিজভূষণ। সেই সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের সাধুসন্ত, সমাজকর্মী, আইনজ্ঞদের। যদিও এই সভায় যোগ দেবেন না কোনও বিজেপি নেতা-কর্মী। অযোধ্যা জেলা বিজেপির সভাপতি সঞ্জীব সিংয়ের বক্তব্য, ‘এই সমাবেশের সঙ্গে বিজেপি যুক্ত নয়। শীর্ষ নেতৃত্ব বললে তবেই আমরা থাকব। এখনও পর্যন্ত এমন নির্দেশ পাইনি।’ আর সেই দিনই কেন্দ্রের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন সাধুসন্তরা। ব্রিজভূষণ চেতনা মহাসভার ডাক দিলেও অযোধ্যার ওই সভা কার্যত সাধুসন্তদের সভাতেই পর্যবসিত হতে চলেছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: STF | Arrest | বড় সাফল্য এসটিএফের, আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার তিন
সাধু-সন্তদের নিয়ে চাপ সৃষ্টি করে পকসো আইন বদলের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই মুখ খুলেছিলেন যোগগুরু রামদেব। সাক্ষী-বজরংদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে রামদেব কয়েকদিন আগে বলেন, ‘ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলে অবস্থানে বসেছেন দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিররা। এটা খুবই দুভার্গ্যজনক। এই ধরনের মানুষকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো উচিত। এই মানুষটি মা-বোনেদের অপমান করছেন। যা আইন ভঙ্গের সামিল।’
এর আগে ব্রিজভূষণ বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশে পকসো আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। শিশু, বৃদ্ধ, সাধু সকলেই এই আইনের অপব্যবহারের ভুক্তভোগী। এমনকী আধিকারিকরাও এই অপব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত আছেন। তবে এবার বদলাতে হবে এই আইন। সাধুসন্তদের নেতৃত্বে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে যেন এই আইন পাল্টানো হয়। কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই পকসো আইন (Pocso Act)পাশ করিয়েছিল কংগ্রেস সরকার।’