গরু পাচার-কাণ্ডে বৃহস্পতিবারও সক্রিয় সিবিআই। শান্তিনিকেতনের রতন কুঠি গেস্ট হাউসে এদিন অনুব্রত মণ্ডলের (কেষ্ট) ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রতর খুব ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বোলপুরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী রানা সরকার।
সিবিআই সূত্রের খবর, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতর কাছের লোক হিসেবে পরিচিত তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী রানা সরকার। সেই টাকাও গরু পাচারের টাকা কি না, তা খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। ওই টাকা অনুব্রতর কাছেও পৌঁছেছিল কি না, সেটাও খুঁজে বার করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার জন্যই রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। বিশ্বজ্যোতিকে আগেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: গরু পাচারে কেষ্টর একাধিক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে তলব সিবিআইয়ের
বুধবার সিবিআই নোটিস পাঠায় অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা, তাঁর দিদি, জামাইবাবু-সহ আরও কয়েকজনকে। ব্যক্তিগত কাজে সুকন্যা এখন বীরভূমের বাইরে বলে তাঁকে সোমবার আসতে বলা হয়েছে। করোনা পর্বে তাঁর বার্ষিক আয় আগের তুলনায় বেশ কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে বলে সিবিআই জানতে পেরেছে। তা ছাড়া একজন প্রাথমিক স্কুলশিক্ষিকা হয়েও তিনি দুটি সংস্থার ডিরেক্টর হলেন কী করে, তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তাঁর আয়কর জমা দেওয়ার পরিমাণ দেখেও বিস্মিত তদন্তকারী অফিসাররা।
সুকন্যাকে এ সব নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। বুধবার সিবিআই প্রায় দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চালায় অনুব্রতর ভাগ্নে রাজা ঘোষকে। তিনি এক সময় বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জেলা সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া বোলপুর পুরসভাতেও চাকরি করতেন তিনি। পরে অবশ্য সেই চাকরি ছেড়ে দেন রাজা। তাঁর নামে একটি চালকলও রয়েছে। সে সব নিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়।