আগরতলা: ত্রিপুরার ভোটে (Tripura Election) বিজেপি শাসিত অসম, গুজরাতের পুলিশ কেন, প্রশ্ন তুলল বাম-কংগ্রেস (Left-Congress)। সিপিএম এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে শুক্রবার চিঠিও দিয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছিল। এখন রাজ্যের অনেক এলাকা থেকে সেই বাহিনী তুলে নিয়ে সেখানে গুজরাত এবং অসম রাজ্য পুলিশকে পাঠানো হচ্ছে। এর পিছনে বিজেপির অন্য অভিসন্ধির সন্ধান পাচ্ছে মূল বিরোধী শক্তি বাম এবং কংগ্রেস।সিপিএমের অভিযোগ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বিজেপির (BJP) ভোটের দায়িত্বে। তিনি সেখানে ঘাঁটি আগলে বসে আছেন। তিনিই সব কলকাঠি নাড়ছেন।
শুক্রবার আগরতলায় এক সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) দাবি করেন, রাজ্যের মানুষের মনোভাব বুঝতে পেরে গিয়েছে শাসক বিজেপি।তারা এবার পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর। তাই ভোটের পাঁচদিন আগে বিজেপি সন্ত্রাসের ছক কষছে। সেই কারণেই ওই দুই রাজ্য থেকে পুলিশ আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:Tripura Assembly Election 2023: শনিবার ত্রিপুরায় মোদি, দুটি জনসভায় ভাষণ দেবেন
সীতারাম বলেন, ১৯ জানুয়ারি কমিশন আশ্বাস দিয়েছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভোট সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি তা বলছে না। সিপিএম নেতাদের আশঙ্কা, ভোটের দুই তিনদিন আগে থেকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ইচ্ছাকৃত অবনতি ঘটাতে পারে বিজেপি। অভিযোগ, ইতিমধ্যে হামলা, হুমকি শুরু হয়ে গিয়েছে। দুদিন আগেই কমলপুরে বাম-কংগ্রেসের সভা এবং মিছিলের উপর হামলা করেছে পুলিশ। ইয়েচুরি বলেন, এবার আর এসব করে পার পাওয়া যাবে না। মানুষ প্রতিরোধের মেজাজে আছে। তাই বিজেপি নিত্য নতুন পরিকল্পনা করছে।
নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে সিপিএম বলেছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি শুধু ত্রিপুরায় ভোট। মেঘালয়, নাগাল্যান্ডে ভোট ২৭ ফেব্রুয়ারি। তা হলে কেন ত্রিপুরায় পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে না, কেন অসম এবং গুজরাত থেকে পুলিশ আনা হবে।
সিপিএমের আরও অভিযোগ, নির্বাচনকর্মীরা পোস্টাল ব্যালট পাচ্ছেন না। অনেক মহকুমায় নির্বাচন দফতরে ডামাডোল চলছে। রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর অভিযোগ, নির্বাচনকর্মীদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ারও চক্রান্ত চলছে। কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মণও বলেন, হাল খারাপ, বুঝতে পেরেই বিজেপি সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে। শুক্রবার দিল্লিতে সিপিএম ত্রিপুরায় অবাধ নির্বাচনের দাবিতে ধরনা দেয়। সেখানে প্রবীণ সিপিএম নেতা প্রকাশ কারাত বলেন, অবাধ নির্বাচন করার দ্বায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।