আগরতলা: প্রস্তুতি শেষ। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। রাত পোহালেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন (Tripura Assembly Elections 2023)। ৬০ আসন বিশিষ্ট উত্তর পূর্বের এই রাজ্যের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল। গত বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Elections) বিজেপি আইপিএফটির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করে লড়াই করে ৩৫ টি আসন দখল করেছিল। সেই রাজ্য দখল করতে বিজেপি (BJP) সর্ব শক্তি দিয়ে প্রচার করেছে। প্রত্যাবর্তন না পালাবদল! জোরকদমে ভোটগ্রহণের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্যে।
সকাল থেকে বুথের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ভোট কর্মীরা। বুথ কেন্দ্রের ১০০ মিটার এলাকা জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ভোটগ্রহণে ১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই বুথে-বুথে পৌঁছেচ্ছেন ভোটকর্মীরা৷ নিরাপত্তার কড়া ঘেরাটোপে রাজ্যের একাদশ তম বিধানসভার ভোটগ্রহণ পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করাই নির্বাচন কমিশনের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ৷ রাজ্যের সমস্ত বুথে আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হচ্ছে। সকাল থেকে রুট মার্চে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ত্রিপুরা বিধানসভায় নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। নির্বাচনকে সুস্থভাবে পরিচালনা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ।
তৃণমূল (TMC), কংগ্রেস (Congress), ও সিপিআইএমের (CPIM) পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনারের (Election Commission) কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। বিজেপি বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপির কর্মীরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাইকে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। আজ সকাল থেকে আমবাসা ও কৈলা শহর থেকে অশান্তির বেশ কিছু খবর এসেছে। অভিযোগ, নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার চেষ্টা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ত্রিপুরায় সাধারন মানুষ একবারে চুপ। এই পরিস্থিতির মধ্যে আগামীকাল ত্রিপুরাবাসীরা পরিবর্তন না প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেন তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল।
বাম-কংগ্রেস এই একইভাবে ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করেছিল। কিন্তু সেখানে সমস্ত বাম ভোট কংগ্রেসের বাক্সে গেলেও কংগ্রেসের ভোট সেইভাবে বামফ্রন্টের বাক্সে যায়নি। ৪৪ আসন পেয়ে বিরোধী দলনেতা হয়েছিলেন আব্দুল মান্নান। যাতে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে তার পুনরাবৃত্তি না হয় সেই জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের একাধিকবার বৈঠক করেছেন।
উল্লেখ্য, আগামিকাল ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন। মোট আসন ৬০টি। ৬০ আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ২৫৯। লডা়ই ত্রিমুখী। রাজ্যে শাসন ক্ষমতায় আসীন বিজেপির সঙ্গে লড়াই কংগ্রেস এবং তিপ্রা মথা। বিজেপি জোট গঠন করেছে আইপিএফটির সঙ্গে। ৬০ টি আসনের মধ্যে পদ্মশিবির প্রার্থী দিয়েছে ৫৫ টিতে। বাকি আসন তারা ছেড়ে দিয়েছে আইপিএফটিকে। ৫৫জন প্রার্থীর মধ্যে পদ্ম শিবিরের মোট মহিলা প্রার্থী ১২। অন্যদিকে, বামেরা প্রার্থী দিয়েছে ৪৭টি। ১৩টি-তে কংগ্রেস। বঙ্গে ক্ষমতায় আসীন শাসকদল তৃণমূলও এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারা প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে ২৮টি কেন্দ্রে। ৬০ আসনে মোট নির্দলপ্রার্থী ৫৮।