ইন্দোর: চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে (Australia) মাত্র ৭৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিল ভারত (India)। প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার পর এবার ভারতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেল ১৬৩ রানে। একমাত্র চেতেশ্বর পুজারা (Cheteshwar Pujara) কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন। তিনি ৫৯ রানে আউট হতেই ভারতের বড় রানের আশা শেষ হয়ে যায়। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), বিরাট কোহলি (Virat Kohli), শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) সবাই ব্যর্থ। অস্ট্রেলিয়ার স্পিন জাল কেটে কেউ বেরতে পারলেন না।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একাই আট উইকেট নিলেন নাথান লিয়ঁ (Nathan Lyon)। তৃতীয় বিদেশি হিসেবে ভারতের মাটিতে ৫০ উইকেট হয়ে গেল তাঁর। সবমিলিয়ে ২৩ বার পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে (Border-Gavaskar Trophy) এই নিয়ে হল ন’টি। ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথে সর্বোচ্চ ১০ বার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন অনিল কুম্বলে (Anil Kumble)। তাঁর ঠিক পিছনেই লিয়ঁ। এদিনের ২৩.৩ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে ৮ উইকেট তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম সেরা পারফর্ম্যান্স।
আরও পড়ুন: Border-Gavaskar Trophy: ইন্দোরে খেলা দেখছেন? স্টাম্পসের পর ‘ছপ্পন’-এ ঘুরে আসতে পারেন
তৃতীয় দিন সকালে ৭৬ রান করতে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া। পিচ ব্যাটিংয়ের পক্ষে কঠিন হলেও তারা হারবে এমন ভাবাই যাচ্ছে না। কয়েকটা উইকেট পড়বে ঠিকই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিরিজ ২-১ হবে বলেই মনে হচ্ছে। ভারতকে জিততে হলে স্পিনারদের মিরাকল ঘটাতে হবে। তাঁদের পারফর্ম্যান্স তো ভালোই, বার বার ঝোলাচ্ছেন ব্যাটাররা।
তবে যেই জিতুক, সেই আড়াই দিনের মধ্যেই খেলা শেষ হবে। ইন্দোরের পিচ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। হোলকার স্টেডিয়ামের উইকেট বরাবর পাটা হয়, ব্যাটাররা ঝুড়ি ঝুড়ি রান করেন, তৃতীয় দিন থেকে বল ঘুরতে শুরু করে। কিন্তু এই টেস্টে প্রথম থেকেই বল বাঁই বাঁই করে ঘুরল, নিচু হল, আবার লাফাল। এই ধরনের পিচ টেস্ট ক্রিকেটের অস্তিত্ব রক্ষায় আদৌ কি ভালো বিজ্ঞাপন? পাঁচ দিনের খেলায় দুই দিনে শেষ তিনটে ইনিংস। আড়াই দিনে খেলাই শেষ হয়ে যাবে। বিসিসিআই (BCCI) কী ভাবছে জানা নেই।