Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeকলকাতাযাদবপুর কি ভিনগ্রহের? সেখানে সিসিটিভি নেই কেন? প্রশ্ন শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের

যাদবপুর কি ভিনগ্রহের? সেখানে সিসিটিভি নেই কেন? প্রশ্ন শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের

Follow Us :

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) কেন সিসিটিভি (CCTV) লাগানো হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ইউজিসির গাইড লাইন থাকা সত্ত্বেও এই বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই কর্তৃপক্ষের। স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর (Swapnadip Kundu) রহস্য মৃত্যুর পর সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (State Child Rights Protection Commission) প্রশ্ন তুলেছে তা নিয়ে। রবিবার কমিশন প্রশ্ন তুলেছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কী ভিন গ্রহের, যে সব জায়গায় থাকলেও সেখানে সিসিটিভি নেই কেন? তবে এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল সিপিএমের ছাত্র সংগঠনন এসএফআই। সেখানে তারা সাফাই দিয়েছে, তারা সিসিটিভির বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু ক্যাম্পাসে সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি করার বিরুদ্ধে। 

এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালকে চিঠি দিল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। চিঠি দেওয়া হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও। রবিবার রানাঘাটে মৃত ওই পড়ুয়ার মামার বাড়িতে যান শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। কমিশনের চেয়ারম্যান অনোন্যা চট্টোপাধ্যায় সহ কমিশনের সদস্যরা সেখানে কথা বলেন মৃতের মা-বাবা-ভাইয়ের সঙ্গে। এদিকে, এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছ থেকে একটি মিছিল শুরু হয় এদিন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে ওই মিছিল হয়। যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যু তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। মেন হস্টেলে গেস্ট হিসেবে স্বপ্নদীপ মনোতোষ ঘোষের ঘরে থাকলেও অন্য একটি ঘরে চলছিল ওই ছাত্রের সঙ্গে পরিচয় পর্ব। সেখানে ছিল মনোতোষ, দীপশেখরের মতো ছাত্ররা। ছিল প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী সহ অন্যান্যরাও। 

আরও পড়ুন: ছাত্রমৃত্যু মামলায় দীপশেখর এবং মনোতোষকে পুলিশ হেফাজত 

এদিকে যাদবপুর ক্যাম্পাসে ছাত্রমৃত্যু মামলায় গ্রেফতার দুই পড়ুয়াকে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। শনিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এরপর এদিনই তাঁদের দু’জনকে আদালতে তোলা হয়। শুনানিতে ওই দুইপড়ুয়ার আইনজীবী আদালতকে জানায়, ছাত্রমৃত্যু মামলায় পুলিশের কাছে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে তাতে মনোতোষ এবং দীপশেখরের নাম নেই। যার পাল্টা জবাবে রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানায়, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্ত করতে গিয়ে অনেকের নাম উঠ এসেছে। সবার নাম এফআইআরে নাও থাকতে পারে। তাই এঁদের পূর্ণ মেয়াদের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হোক। দুপক্ষের শুনানির পরে অবশেষে আদালত ওই দু’জনকে ন’দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে।

 

RELATED ARTICLES

Most Popular