দেগঙ্গা: ভোট প্রচার পর্ব শেষ হতে ফের রণক্ষেত্রের চেহারা দেগঙ্গায়। শুক্রবার দেগঙ্গার আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোড়ামারি এলাকায় তৃণমূল-সিপিএম-আইএসএসেফের সংঘর্ষে আহত এক শিশু সহ ৪ থেকে ৫ জন। এমনকী ঘটনাস্থল থেকে ১০টি তাজা উদ্ধার করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন আচমকাই তৃণমূলের লোকজনেরা সিপিআইএম ও আইএসএফ কর্মীদের চড়াও হয়। এক আইএসএফ প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ। বামার আঘাতে এলাকার এক শিশু সহ ৫ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে ১০টি তাজা বোমা।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি ও বোমাবাজির অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে
গতকালই মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে ২ জনের মৃত্যু খবর পওয়া যায়। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এলাকায় বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয় কামাল শেখ নামে এক ব্যক্তির। অন্যদিকে বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকাতে নির্দল প্রার্থীর স্বামী তথা বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি গুলির খোল। অভিযোগের তির এলাকারই এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। যদিও এ ব্যাপারে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে সন্ত্রাসের মাত্রা।
উল্লেখ্য,পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কাল থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তি ছড়িয়েছে। গত কয়েকদিনে রাজ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথম থেকেই হিংসার ঘটনায় সরব হন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি একাধিকবার জানিয়েছেন, কোনও ভাবে রাজ্যে হিংসা বরদাস্ত নয়। তিনি বলেন, রক্তের হোলি খেলা বন্ধ হওয়া দরকার। মানুষের রক্ত দিয়ে রাজনৈতিক হোলি খেলা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এলাকায় গিয়ে আমি পরিস্থিতি দেখেছি। কারা অশান্তির পিছনে, এর তথ্য আমার কাছে রয়েছে। হিংসার যে আগুন রাজ্যের জেলায় জেলায় ছড়িয়েছে, সেই দুঃখজনক অধ্যায় শেষ হওয়া উচিত। কে হিংসা ছড়াচ্ছে, তা আমার কাছে বড় কথা নয়। হিংসায় সাধারণ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, এটাই বড় কথা।