হুগলি: স্কুলে অঙ্কের (Mathematics) শিক্ষক শিক্ষিকা নেই। সেই কারণে ক্লাসও হয় না। সময় পেলে ইংরেজি (English) আর ভৌতবিজ্ঞান পড়ান প্রধান শিক্ষিকা (Headmaster)। গতবারে ৮২ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছে ২৫ জন। এবারে কত জন ফেল করবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। নিজের স্কুলের এমন দশা দেখে হতবাক আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nausad Siddiki)।
ফুরফুরা পঞ্চায়েত এলাকার রামপাড়া নারায়ণী বালিকা বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিভাগ কো এড। বাইরে থেকে দেখতে বেশ ঝাঁ চকচকে। এখানেই চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন নওশাদ। অনেক দিন ধরেই স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং কর্মী না থাকার কথা তাঁর কানে এসেছিল। সেটাই খতিয়ে দেখতে শুক্রবার বেলা ১১ টা নাগাদ স্কুলে যান নওশাদ। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, স্কুলে ইংরেজি এবং ভৌতবিজ্ঞানেরও শিক্ষক শিক্ষিকা নেই। এমনকী চতুর্থ শ্রেণির কোনও কর্মীও নেই। এরপর তাঁর স্কুলের নানা সমস্যার কথা শোনেন প্রধান শিক্ষিকার কাছে। সমস্যা সাধ্যমতো সমাধানের আশ্বাস দেন নওশাদ সিদ্দিকি।
২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত এই স্কুলে ছাত্রী সংখ্যা ছিল সাড়ে ছশোর উপর। ২০১৪ সালের পর কমতে শুরু করে ছাত্রী সংখ্যা। বর্তমানে এই স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা ৪৫২ জন। শিক্ষিকা মাত্র আটজন। একজন প্যারা টিচার। অংক, ভৌত বিজ্ঞান এবংইংরেজি ক্লাস নিয়মিত হয় না। অন্যান্য বিষয়ের শিক্ষিকারা বাধ্য হয়ে অঙ্ক, ভৌতবিজ্ঞান এবং ইংরেজির ক্লাস নেন।
বর্তমানে সব দায় এসে পড়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার মৃদুলা হালদারের উপর। তিনি জানান, অশিক্ষক কর্মীর কাজও তাঁকেই সামাল দিতে হয়। তাঁর অভিযোগ, বারবার এসআই, ডিআই সহ শিক্ষা দফতরে আবেদন জানিয়েও মেলেনি কোনও ফল।