কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, যে প্রশ্নের তালিকা তৈরি হয়েছিল বেশিভাগ প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি সুজয়কৃষ্ণের কাছ থেকে বেশিকিছু ডিজিটাল এভিডেন্স পেয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। তাঁর বাড়িতে এবং দফতরে তল্লাশি চালিয়ে অ্যাডমিট কার্ড সহ একাধিক তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি তাঁর সংস্থায় খাটিয়েছে। ওই সংস্থার মাধ্যমেই সুজয়কৃষ্ণ কালো টাকাকে সাদা করেছেন বলে দাবি ইডির। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করার পর বুধবার ১২টা নাগাদ মেডিক্য়াল পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করবে ইডি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে যান সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। এর আগে এই মামলায় সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সম্প্রতি ইডির তরফেও তাঁর বাড়ি সহ অফিসে হানা দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। ইডি সূত্রে খবর, তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তারপরই ইডির তরফে নোটিস পাঠানো হয় সুজয়কৃষ্ণকে। এমনকী তাঁর ঘনিষ্ঠ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্ত এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার রাহুল বেরাকেও সল্টলেকের ইডি দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গতকাল ইডি দফতরে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের সুজয়কৃষ্ণ জানান, আমার কনফিডেন্স বেরনোর সময় দেখবেন। এখন কী করে বলব। আমি ভয় পাচ্ছি না। বেরনোর সময় থাকবেন, আমি কথা বলে যাব।
আরও পড়ুন: Muhammad Iqbal Removed | পাকিস্তানের জাতীয় কবিকে সিলেবাস থেকে সরানোর প্রস্তাব
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি সহ তদন্তে অসহযোগিতা এবং তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে হেঁয়ালি করে কথা বলার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে যে দুটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। সেই বিষয়ে কোনওরকম উত্তর দিতে না পারায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।