ক্যান্ডি: বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেল ভারত -পাকিস্তান ম্যাচ। ম্যাচের ফলাফল অমীমাংসিত হওয়ায় সুপার ফোরে চলে গেল পাকিস্তান। ২টি ম্যাচে পাকিস্তানের পয়েন্ট তিন। ভারতকে সুপার ফোরে যেতে গেল বাকি ম্যাচ জিততে হবে।
প্রসঙ্গত, এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এদিনও চোখ ছিল শাহিন আফ্রিদির দিকে। এবারও তিনি জিতলেন। পর পর দু’টি বল আউট সুইং করার পর একটি ইনসুইং করলেন। তাতেই শেষ রোহিত শর্মা (১১)। প্রথম উইকেট হারায় ভারত। দলের রান তখন ১৫। রোহিত আউট হতেই ক্যান্ডির মাঠে নামতে দেখা গেল বিরাটকে। তাঁর মারা একটি কভার ড্রাইভ দেখে হাসি ফিরেছিল ভারতীয় সমর্থকদের মুখে। কিন্তু তা ছিল ক্ষণিকের জন্য। অফ স্টাম্পের বাইরে বল করেছিলেন আফ্রিদি। বলটি যে সুইং করবে না, তা বুঝতে পারেননি বিরাট। ভুল লাইনে ব্যাট চালিয়ে বলটি টেনে নিলেন উইকেটে। ১০ ওভার বল করে শাহিন মাত্র ৩৫ রান দিয়ে নিলেন ৪ উইকেট।
আরও পড়ুন: ফের বৃষ্টি, পাকিস্তানকে জিততে কত রান করতে হবে?
তবে ম্যাচের রং পাল্টে দিয়েছেন ঈশান কিসান এবং হার্দিক পান্ডিয়া। ঈশান করলেন ৮২ রান আর হার্দিক ৮৭। দু’জনেই শতরান কাছ থেকে ফিরেছিলেন। ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত তখন ব্যাটিং বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখছিল। তখনই হাল ধরেন ঈশান এবং হার্দিক। হার্দিক আর ঈশান মিলে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত থাকলে ভারত হয়তো ৩০০ রানও পার করে ফেলতে পারত। কিন্তু রউফের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে ক্যাচ তুলে দেন ঈশান। হার্দিককে স্লোয়ারে আউট করেন আফ্রিদি। শেষ বেলায় ১৪ বলে ১৬ রান করে দলকে ২৫০ রান পার করিয়ে দেন বুমরা।
তবে নিরাশ করেছেন শুভমন গিল। তাঁর ব্যাট থেকে প্রথম রান আসে ১৩ বলে। শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ১০ রান করে আউট হয়েছিলেন শুভমন। শ্রেয়স আইয়ারের এই ম্যাচ ছিল চোট সারিয়ে প্রত্যাবর্তন। মাত্র ১৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও দাগ কেটে গেল তাঁর চোখ ধাঁধানো স্ট্রোক।
তবে বোলিংয়ে মহম্মদ শামি কেন বাদ? এই প্রশ্ন দ্রাবিড়কে কড়া ভাবে ফেস করতে হবে বলেই মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।