Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | সাভারকর পথ দেখিয়েছিলেন নেতাজিকে?    

Fourth Pillar | সাভারকর পথ দেখিয়েছিলেন নেতাজিকে?    

Follow Us :

একটা সময় ছিল যখন শিল্প মাধ্যমের বিশাল অংশই ছিলেন বাম, গণতান্ত্রিক, উদার, ধর্মনিরপেক্ষ মানুষজন। হ্যাঁ, এতগুলো বিশেষণ বসাতেই হল। দেশ স্বাধীন হল, স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্য সমস্ত ধারা, মানে বিপ্লববাদী, কমিউনিস্ট, সোশ্যালিস্ট, হিন্দুত্ববাদীদের চেয়ে অনেক বেশিই কলকে পেলেন কংগ্রেসি নেতারা। তাঁরাই স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল ধারা হিসেবে কাজ করেছিলেন, স্বাধীনতার পরে সেই ত্যাগব্রতের ফসল কাটতে মাঠে নেমেছিলেন, একথা তো অস্বীকার করার নয়। কমিউনিস্টরা ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায় ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হলেন। মুসলিম লিগ পাকিস্তান পেল বটে কিন্তু তা নিয়ে কী করবে, তা তাদের জানা ছিল না আর হিন্দুত্ববাদীদের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ল গান্ধীর ওপর। দ্বি-জাতিতত্ত্বের কথা বলে যারা প্রথম দেশভাগের বীজ বুনেছিল, তারাই তখন কংগ্রেস আর গান্ধীকে তুলছে দেশভাগের দায়ে কাঠগড়ায়, এবং সেই বিষ ছড়ানোর উপযুক্ত সমাপ্তি ছিল গান্ধীহত্যা। মানুষটা বেঁচে থাকতে তবু ওই আরএসএস–হিন্দু মহাসভা, সাভারকর, গোলওয়ালকর, হেডগেওয়ারের কথা যদি বা কিছু মানুষ শুনত, গান্ধীহত্যার পরে বেশ কিছুদিনের জন্য তাদের বিষ ছড়ানো বন্ধ হয়েছিল, মানুষ তাদের ষড়যন্ত্রকারী, প্রতারক হিসেবেই চিহ্নিত করেছিল। সাভারকর ১৯৬৬ পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন, কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছিল ওই ১৯৪৮-এই। সেই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক ভূমিতে ছিলেন কংগ্রেসিরা, কিন্তু সামাজিক, সাংস্কৃতিক জায়গা দখল করেছিল মূলত এলিট, শিক্ষিত, বাম, মধ্যপন্থী, উদার গণতান্ত্রিক এবং নিশ্চয়ই ধর্মনিরপেক্ষ মানুষজন। জাগতে রহো থেকে দু’ বিঘা জমিন এমনি এমনিই তৈরি হয়নি। তার আগেই খাজা আহমেদ আব্বাসের ধরতিকে লাল এসে গেছে। নাটক, গান, সাহিত্য, কবিতা, শিল্পকলা প্রত্যেক ক্ষেত্রে বামধারা ফল্গু নদীর মতো বইছিল, সে ধারা উপরে আসতে শুরু করল। আইপিটিএ শুরু তো হয়েছিল স্বাধীনতার আগেই কিন্তু এখন সেই ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনকে ঘিরে কারা জড়ো হয়েছেন? পৃথ্বীরাজ কাপুর, বলরাজ সাহানি, খাজা আহমেদ আব্বাস, ঋত্বিক ঘটক, বিজন ভট্টাচার্য, উৎপল দত্ত, সলিল চৌধুরী, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, কে নয়? সে সময়ে গডসে রাষ্ট্রপিতার হত্যাকারী, জনসঙ্ঘ কোথাও পাত্তাও পায় না, টিমটিম করে প্রদীপ জ্বালিয়ে কিছু মানুষ বসে থাকত। অবশ্যই মহারাষ্ট্র গুজরাতে হাফ প্যান্টুল পরে ধেড়ে খোকারা লাঠি ঘোরাতেন, যা নিয়ে হাসাহাসিই হত। সেই শাখা যে বাড়ছে তা কেউ খেয়াল করেনি। তাদেরই কেউ কেউ আদিবাসী এলাকায় আদিবাসী বনবাসী সমিতি নাম দিয়ে স্কুল খুলছেন, আদিবাসীদের হিন্দুত্বের পাঠ পড়ানো হচ্ছে, তাও কেউ খেয়াল করেনি, খেয়াল করেনি গোবলয় জুড়ে, মহারাষ্ট্র গুজরাতে জনসঙ্ঘের ভোট পার্সেন্টেজ বাড়ছে। 

সাহিত্যিক, কবি, লেখক, গীতিকার, চলচিত্র পরিচালক, এলিট বুদ্ধিজীবীরা হরিনাম সংকীর্তন বর্জন করেছে, বর্জন করেছে সত্যনারায়ণের পাঠ, লক্ষ্মীর পাঁচালি। জুগগি ঝোপড়িতে তখনও রামচরিত মানস পাঠ হয়েছে, সারারাত ধরে জাগরণ হয়েছে। গোটা শিল্প সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ সেই তখন থেকেই ভীষণ উদার, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাম, কিন্তু এলিট এবং আম আদমির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এ বাংলায় তো বটেই। ঐতিহাসিক বলতে রোমিলা থাপার আর ইরফান হাবিব, সাহিত্যিক মানে রবি ঠাকুর, প্রেমচন্দ, জীবনানন্দ, দিনকর। ওধারে রামনবমী থেকে রামচরিত মানস, হনুমান পুজো থেকে সাধারণ মানুষের পরিসর থেকে বিচ্ছিন্ন এক উচ্চ মধ্যবিত্তদের কালচার গড়ে উঠল। এটাই ছিল সেই টেকেন ফর গ্রান্টেড মনোভাবের পৃষ্ঠভূমি।  এই সময়ে দুর্দান্ত সব সিনেমা হয়েছে, উঠে এসেছেন সত্যজিৎ, ঋত্বিক, মৃণাল, শ্যাম বেনেগাল, গোবিন্দ নিহালনি। দারুণ সব নাটক হয়েছে, বাংলায়, মহারাষ্ট্রে, দিল্লিতে তৈরি হয়েছে ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা, উঠে আসছেন নাসিরুদ্দিন শাহ এবং আরও অজস্র অভিনেতা পরিচালক। পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের মাথায় ঋত্বিক ঘটক। ছবির পরিচালক, নাটকের পরিচালকেরা গরিবদের লড়াইয়ের কথা বলছেন, সামাজিক আন্দোলনের কথা বলছেন, ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে আনছেন মানুষের লড়াইয়ের কথা, সেসব সিনেমা নাটক দেশে শুধু নয়, বিদেশেও সাড়া পাচ্ছে। তাঁদের নাটকে, সিনেমায় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই, দিন বদলের স্বপ্ন। কিন্তু দেখছে কারা? সে ভাষা বোঝে কারা? এলিট উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষজন। নিজেরাই দেখছেন, নিজেরাই পিঠ চাপড়াচ্ছেন। এ বাংলার সিনেমার কথা উঠলে নিশ্চিতভাবেই তিনটে নাম আসবে, সত্যজিৎ, ঋত্বিক, মৃণাল। চলুন তো গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে, সমীক্ষা হোক। কতজন এঁদের একটা সিনেমাও দেখেছেন? জেলে, মুটে, মজুর, চাওয়ালা, জুতো সারাইওলা, ময়রা, ট্যাক্সি বা অটোচালক? দিনান্তের পরিশ্রমের পর তাঁদের এন্টারটেনমেন্টের জোগান কারা দিল? কোথা থেকে এল? কেন নতুন করে মূল ধারার ছবি, মূল ধারার সংস্কৃতি বলে এক বকচ্ছপের আমদানি হল? গর্ব করে এলিট ফিল্মমেকার জানালেন, দর্শক দেখবে কি দেখবে না তা ভেবে আমি সিনেমাই করি না। 

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | মোদিজি সংসদে, রাস্তায় খেলোয়াড়েরা, মাটিতে সপ্ত ঋষি     

ফাঁক রয়ে গেল বিরাট, ক্রমশ সে ফাঁক বড় হচ্ছে। সেই ৬০-এর দশকে নাথুরামের ছবির সামনে লুকিয়ে কিছু মানুষ জড়ো হতেন, এখন তাঁরা প্রকাশ্যে আসছেন, সাভারকরকে এককথায় দেশদ্রোহী বলেই পাট চুকিয়েছিলেন বামেরা, বুদ্ধিজীবীরা। আজ সেই সাভারকর ফিরে এসেছেন, তাঁর জন্মদিনে উদ্বোধন হচ্ছে দেশের গণতন্ত্রের পীঠস্থান। সিনেমা হচ্ছে। কনক্লেভ-এর আয়োজন করছে অন্যতম বড় মিডিয়া গ্রুপ। সেখানে নতুন ইতিহাস আনা হচ্ছে। সিলেবাস পালটে দেওয়া হচ্ছে, গান্ধী নয় সাভারকর পড়ো। বিকৃত তথ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে নেতাজি সুভাষকে নিয়ে সিনেমা, লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে কনস্পিরেসি থিওরি ছিল, এখন তা সিনেমা। সেই এলিটরা কোথায়? বিত্তবান, উচ্চবিত্ত মানুষজন অনায়াসে স্বভাবমতো শিবির পাল্টেছে, মধ্যবিত্ত বিভ্রান্ত, বিভাজিত। বামেরা টগর বোষ্টমির মতো দিনের বেলায় জাত বাঁচানোর নৌটঙ্কি করতে করতে আপাতত প্রায় অপ্রাসঙ্গিক। জান কবুল বলে যাঁরা অসংসদীয় পথে মাঠে নেমেছিলেন তাঁরা এখন ক্রমশঃ জঙ্গলের আরও গভীরে চলে যাচ্ছেন, তাঁদের সমর্থনে শহরে জনসমর্থন ১২১-এর গিনতি থেকে ১২২ পার করেনি কত বছর কে জানে। এবং উল্টোদিকে সেদিন যারা চুপিসারে মানুষের জীবনযাত্রার যাবতীয় উপকরণে বিষ ঢেলে দেওয়ার পরিকল্পনায় নিজেদের জিইয়ে রেখেছিল, তারা আজ পথে। এখনও অবশিষ্ট বাম, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, উদার মানুষজন অবাক চোখে দেখছে, গডসে হয়ে উঠেছে দেশপ্রেমিক, সাভারকর হয়ে উঠেছেন স্বতন্ত্র বীর সাভারকর। বিজেপির প্রতিনিধি টিভি ক্যামেরার সামনেই চিৎকার করে বলছেন, আমরা হিন্দুরাষ্ট্র চাই, সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্রের শব্দগুলো ছুড়ে ফেলে দেব। হ্যাঁ, এই কথা বলছেন, শুনুন। 

সেই প্রেক্ষিতেই অভিনেতা পরিচালক রণদীপ হুডা তাঁর স্বতন্ত্র বীর সাভারকর ছবিতে জানিয়েছেন ক্ষুদিরাম, সুভাষচন্দ্র, ভগৎ সিং ছিলেন সাভারকর দ্বারা অনুপ্রাণিত। ছবির টিজার বাইরে এসেছে, আজ পর্যন্ত দেখেছেন ৪০ লক্ষ মানুষ। যে টিজারে বলা হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য লড়েছেন তো মাত্র কিছু মানুষ, বাকিরা তো ছিল ক্ষমতালোভী। গান্ধীজি খারাপ ছিলেন না, কিন্তু তাঁর অহিংসা নীতির জন্যই দেশের স্বাধীনতা পিছিয়ে গেল ৩৫ বছর। এই ছবি মানে স্বতন্ত্র বীর সাভারকর এমন একজনের ছবি যিনি নাকি অনুপ্রাণিত করেছিলেন ক্ষুদিরামকে, ভগৎ সিংকে, নেতাজিকেও। হ্যাঁ, এই ছবি লক্ষ কোটি মানুষ দেখবেন, তাঁদের বেশিরভাগই হল থেকে বের হবেন এই নতুন তথ্যগুলোকে নিয়েই। তাঁরা জনে জনে বলবেন, সাভারকর ছিলেন বিপ্লবী, উনিই তো দেশের আসল স্বাধীনতার জন্য লড়েছিলেন, গান্ধী তো ছিলেন এক কোলাবরেটার, ইংরেজদের সঙ্গে হাত ধরে চলার কথা বলেছিলেন। নেতাজি, ভগৎ সিং আর ক্ষুদিরামের মতো বিপ্লববাদীরা তো গান্ধীর পথে চলেননি, কাজেই ওনারা সাভারকর দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন, সেটা তো পরিষ্কার। হ্যাঁ, এটাই তাঁরা বুঝবেন, লক্ষ কোটি মানুষ এই ধারণা তৈরি করবেন, যেমন লক্ষ কোটি মানুষ মনে করেন লালবাহাদুর শাস্ত্রীকে খুন করা হয়েছিল। তাঁরা মনে করেন এক আধপাগলা শয়তান সাধুই ছিলেন আসলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, কারণ সিনেমাতে সেরকম বলা হচ্ছে। কোন সময়ে? যে সময়ে বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ, উদার চিন্তাভাবনা সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন এক ধারণা। কাজেই কাশ্মীর ফাইলস থেকে বেঙ্গল ডায়রিজ আসবে, এরপরে দেশভাগের সময় হিন্দু দাঙ্গাবাজ গোপাল পাঁঠাকে হিরো বানিয়েও ছবি আসবে, কিছুদিন পরে নাথুরাম গডসে নিয়ে সিনেমা আসছে, গডসে ফাঁসি চড়ছেন, ঘোষণা করছেন হিন্দুরাষ্ট্র হবে, আমরা সে দৃশ্য দেখব। কেউ কেউ চোখের জল ফেলবেন, গান্ধীর জন্য নয়, গডসের জন্য। সিনেমা আসবে সিধু কানুকে নিয়ে যাঁদেরও নাকি আসল ইচ্ছে ছিল রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করা, সিনেমা আসবে সূর্য সেনকে নিয়ে যেখানে মূল বিষয় হবে তাঁর প্রায় শেষ লেখা বিজয়া নিয়ে। সে লেখা আপাতত কারও কাছে নেই, কিছু অংশবিশেষই আছে, কিন্তু তা খুঁজে পাওয়া যাবে, সূর্য সেনও এক হিন্দুরাষ্ট্র চেয়েছিলেন এবং সেই কারণেই তাঁর বাহিনীতে একজনও মুসলমান ছিলেন না, এই রিসার্চও শুরু হয়ে গেছে। এবং এরকম বিষয়ে ছবি করলে ফিনান্স-এর অভাব হচ্ছে না, টাকা জোগাচ্ছেন চিন্তামণি। অন্যদিকের যাবতীয় ন্যারেটিভ শেষ, তারপরেও কেউ যদি এই হিন্দু মহাসভার বিশ্বাসঘাতকতার ফাইল খুলতে চায়, সে ছবি করার পয়সা পাবে না, কেউ যদি গান্ধীহত্যার পেছনে দায়ী মানুষজনের ভূমিকা নিয়ে ছবি করতে চায় তাহলে তাঁর ছবির স্ক্রিপ্ট ঘরে পড়ে থাকবে। একটা করে টিজার আসবে, অসত্য তথ্য আসবে, মিথ্যের ঝোলা নিয়ে হাজির হবে ছবি, কিছু বুদ্ধিজীবী বিরোধিতা করবেন, কোনও কোনও রাজনৈতিক দল রাস্তায় নেমে বিরোধিতা করবে, কোথাও ছবিকে হাস্যকরভাবে ব্যান করা হবে এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় ছবি দেখানোর পক্ষে এসে যাবেই। সেই ছবি দেখানোর, যে ছবি সাকুল্যে এক কোটির ব্যবসা করতে পারত না সেই ছবি এই বিতর্ক আর প্রচারের কাঁধে ভর দিয়ে ৫০০ কোটির ব্যবসা করবে, সেই পথেই আপাতত নতুন ছবি রণদীপ হুডার স্বতন্ত্র বীর সাভারকর। কিন্তু সত্যিটা কী? সেটা আমাদের বলতেই হবে, কে ছিলেন এই সাভারকর? বিপ্লবী ছিলেন? দেশপ্রেমিক? নাকি দেশদ্রোহী? আগামিকাল তা নিয়েই আলোচনা। আজ এখানেই শেষ করছি, মতামত জানান।      

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
বাংলার ৪২ | ঝাড়গ্রামে কোন দল এগিয়ে?
06:35
Video thumbnail
আজকে (Aajke) | কুণাল ঘোষ তৃণমূলের একজিমা
07:21
Video thumbnail
চতুর্থ স্তম্ভ | Fourth Pillar |এবারের নির্বাচনে গোবলয় থেকে পঞ্জাব হরিয়ানাতে হার-জিত ঠিক করবে কৃষকেরা
14:22
Video thumbnail
Beyond Politics | মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেবে ওরা?
10:44
Video thumbnail
Politics | পলিটিক্স (02 May, 2024)
12:48
Video thumbnail
বাংলা বলছে (Bangla Bolche) | রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ঠিক কী অভিযোগ করলেন মহিলা?
38:08
Video thumbnail
সেরা ১০ | খড়গ্রামের পর বাঁকড়া, ভোটের আবহে হাওড়ায় গুলি
16:45
Video thumbnail
ধর্মযুদ্ধে রণহুঙ্কার | চারিদিক জ্বলছে, মানুষ জ্বলছে : মমতা
05:26
Video thumbnail
নারদ নারদ | অবৈধ বালি খাদান বন্ধের কড়া বার্তা হাইকোর্টের, পুলিশকে ৩ মাসের সময়ে বেঁধে দিল আদালত
17:53
Video thumbnail
District Top News | দেখে নিন আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি
13:56