নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ পথে নামছে কংগ্রেস। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন ঘেরাও করবেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। একই সঙ্গে কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা রাষ্ট্রপতি ভবনেও দরবার করবেন। মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি, ইডি-সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার-সহ একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখেই এই কর্মসূচি। কংগ্রেসের কর্মসূচির আগেই যন্তর মন্তর চত্বর বাদ দিয়ে নিউ দিল্লি জেলার সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপালকে এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিস। কংগ্রেসের সদর দফতর আকবর রোডে প্রচুর ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই আকবর রোডে আসতে শুরু করেছেন দলের নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার দলের অনেক নেতা-কর্মী রাত কাটাবেন কংগ্রেস দফতরের সামনের প্যান্ডেলে। আজ এখান থেকেই মিছিল করে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যাবেন। পরে কংগ্রেস নেতারা যাবেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। কংগ্রেসকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আদৌ যেতে দেবে কি না দিল্লি পুলিস, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বুধবারই আকবর রোড নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন সকালে পুলিশি নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। আটকে দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বাড়ির সামনের রাস্তাও। কংগ্রেসের আশঙ্কা, দিল্লি পুলিস হয়তো জমায়েত করতেই দেবে না। দলের এক নেতা জানিয়েছেন, পুলিস বাধা দিলেও তাঁদের কর্মসূচি চলবে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা ঘিরে কংগ্রেসের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। রাহুল বলেছেন, মোদী-শাহরা যা ইচ্ছে করুন। আমরা বিজেপির এই হুমকির কাছে মাথা নত করব না। তাঁর কথায়, আমি মোদিকে ভয় পাই না। বুধবার দিল্লিতে ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিসের একাংশ সিল করে দেয় ইডি। বৃহস্পতিবার মল্লিকার্জুন খাড়্গের উপস্থিতিতে ওই অফিসে ফের তল্লাশি চলে। খাড়্গেকে তলবও করা হয়। মল্লিকার্জুন রাজ্যসভায় বলেন, অধিবেশন চলাকালীন আমাকে ইডি তলব করেছে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে তাঁর প্রশ্ন, এটা ইডি পারে কি না। খাড়্গে জানান, তিনি আইনের বিরুদ্ধে যেতে চান না। তাই ইডির ডাকে হাজির হচ্ছেন।