অবশেষে সচিন পাইলটের(Sachin Pilot) ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ছে। তিনিই হচ্ছেন রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নামে সিলমোহর দিতে আজ জয়পুরে বৈঠকে বসছেন কংগ্রেসের(congress) শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের বিধায়কদেরও বৈঠকে ডাকা হয়েছে। হাই কমান্ড মল্লিকার্জুন খাড়্গে(Mallikarjun Kharge) এবং অজয় মাকেনকে (Ajay Maken)পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে। তাঁরাও আজ রবিবার সন্ধ্যার ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। গান্ধী পরিবার চাইছে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট(Ashok Gehlot) পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি হন। কিন্তু গেহলট মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চাইছিলেন না। সোনিয়া গান্ধী(Sonia Gandhi), রাহুল গান্ধীর(Rahul Gandhi) কাছে তাঁর আবদার ছিল, কংগ্রেস সভাপতি হলেও তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়বেন না। তিনি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন, যাতে রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াই করুন। কিন্তু রাহুল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোনও মতেই সভাপতি হবেন না।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার পরে ১১ বার গান্ধী পরিবারের বাইরে ছিল কংগ্রেস সভাপতির পদ
একই সঙ্গে দিন কয়েক আগে রাহুল বার্তা দেন, উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে এক ব্যক্তি, এক পদ (congress’s one man one post policy)নীতি গ্রহণ করেছে। সেই নীতি সকলের মেনে নেওয়া উচিত। তাঁর এই ইঙ্গিত যে গেহলটের দিকেই ছিল, তা বুঝতে কারও কষ্ট হয়নি। গেহলট বুঝতে পারেন, গান্ধী পরিবার অনড়। তাই তিনি আর সময় নষ্ট করতে চাননি। অনিচ্ছা সত্ত্বেও গেহলট কংগ্রেস সভাপতি (Congress president)পদে মনোনয়ন জমা(files nomination) দিতে রাজি হয়ে যান। তিনি চেয়েছিলেন, একান্তই যদি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে হয়, তাহলে সেই কুর্সিতে তাঁরই ঘনিষ্ঠ কাউকে বসানো হোক। এখন সেই জেদ থেকেও তিনি সরে এসেছেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার পরে ১১ বার গান্ধী পরিবারের বাইরে ছিল কংগ্রেস সভাপতির পদ
এর ফলে সচিনের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রসঙ্গত, রাজস্থানে প্রবীণ গেহলট এবং নবীন পাইলটের মধ্যে তীব্র লড়াই রয়েছে। দুজনের কার্যত মুখ দেখাদেখি বন্ধ। একটা সময়ে তো পাইলট কংগ্রেস প্রায় ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে কোনও মতে নিরস্ত করেন। তিনি বর্তমানে রাজস্থানের উপ মুখ্যমন্ত্রী(deputy cm)। কংগ্রেস সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকেই সচিনের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। আগামী বছরের শেষে রাজস্থানে বিধানসভা ভোট(rajashthan legislative assembly elections)। গেহলট ভোটের আগে আর দলের মধ্যে বিরোধ চাইছেন না। তাই তিনি সুর নরম করেছেন। অথচ কয়েকদিন আগেই তিনি জয়পুরে বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, দলের অধিকাংশ বিধায়ক তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন। সেই বৈঠকে আবার পাইলট ছিলেন না। তিনি তখন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দক্ষিণ তল্লাটে ভারত জোড়ো যাত্রায়(Bharat Jodo Yatra) ব্যস্ত ছিলেন।