কলকাতা: ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ স্তরের মেধা তালিকাভুক্ত বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা অবস্থানের দু’বছর পূর্ণ হল মঙ্গলবার। সেই দু’বছর পূর্তিকে সামনে রেখে এদিন চাকরিপ্রাথিরা (job candidates) অবস্থানকে সামনে রেখে এদিন অভিনব কর্মসূচি পালন করেন। অবস্থান মঞ্চে বিভিন্ন থিমের আয়োজন করা হয়েছিল।একটি থিমে দেখা গিয়েছে, অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের সামনে পোড়া রুটি ঝুলছে। সারিবদ্ধভাবে বসে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের হাত শিকল দিয়ে বাঁধা।এই থিমের মাধ্যমে তাঁরা বোঝাতে চেয়েছেন, খাবার চাই, চাকরি চাই, বাঁচতে চাই। কিন্তু সরকার কিছুই দিচ্ছে না। চোখের সামনে রুটি ঝুললেও সে রুটির কাছে পৌঁছতে পারছেন না শিকলে হাত বাঁধা চাকরিপ্রার্থীরা।
এর পাশাপাশি মঞ্চে এদিন রক্তদান শিবিরেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে অনেক চাকরিপ্রার্থী ছাড়া পথচলতি কিছু মানুষও রক্তদান করেন। রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীরা বোঝাতে চাইছেন, চূড়ান্ত সংকটের মধ্যে থেকেও তাঁরা সমাজের জন্য কাজ করতে পিছপা নন।
চাকরিপ্রার্থীদের এই অভিনব কর্মসূচি দেখতে এদিন ভিড়ও জমে বেশ। অনেককে আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : HS Exam 2023 | উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম দিনেই দুর্ভোগে পড়া পরীক্ষার্থীদের দিকে এগিয়ে এল মানবিক হাত
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ এই দুটি স্তরে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেয়। মেধা তালিকায় দেখা যায়, ১৪৯ নম্বরে পেয়েছেন যিনি, তাঁর থেকে অনেক পিছনে থাকা ১৫৯, ১৯৬ ও ১৯৮ নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন। এরকম অনেক অভিযোগ উঠে আসে। এরপর প্রাথীরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। ২০২৩ সালে এসেও সেই প্রাথীদের নিয়োগ হয়নি। ২০২১ সাল থেকে ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এই চাকরিপ্রার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান আন্দোলন শুরু করেন।