Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeলাইফস্টাইলCentre Advisory: ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি, করোনার মতো উপসর্গ, সংক্রমণ রুখতে জারি...

Centre Advisory: ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি, করোনার মতো উপসর্গ, সংক্রমণ রুখতে জারি নির্দেশিকা

Follow Us :

নয়াদিল্লি: শীতের শেষ, গরমের শুরু। আবহাওয়া (Weather) বদলের সময় জ্বর সর্দি-কাশি কোনওটাই নতুন নয়। তবে ভয় একটাই, সম্প্রতি নতুন এক ভাইরাস মাথাচাড়া দিছে গোটা দেশ জুড়ে। লক্ষণ বলতে জ্বর, সর্দি-কাশি। করোনা নয় অথচ করনার মতো উপসর্গ! (Covid Symptoms) বিগত তিন মাস ধরে সারা দেশের দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই নতুন রোগ। হুহু করে ছড়িয়ে পড়ছে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খেয়ে জ্বর কমলেও, থেকেই যাচ্ছে কাশির সমস্যা। এমনকী অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। নতুন এই ‘ফ্লু’-এর (Flu Cases )দাপটে নাজেহাল আমআদমি। এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণএর মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা বা অ্যাডভাইসরি  (Advisory)জারি করা হয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন অংশে গত দুই-তিন মাস ধরে বেড়ে চলেছে জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) বলেছে যে, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ সাবটাইপ এইচ৩এন২ ভাইরাসের কারণেই আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।  এইচ৩এন২ গত দুই থেকে তিন মাস দাপট দেখাতে শুরু করেছে, এটি অন্যান্য সাব-টাইপের তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। হাসপাতালে ভর্তির হারও সেই কারণে বেশি।  ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর তরফে জানানো হয়েছে এইও ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণভাবে তিন দিন মত জ্বর থাকে। কিন্তু কাশি প্রায় তিন সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে।  

আরও পড়ুন:Anubrata Mondal: অনুব্রতকে যত দ্রুত সম্ভব দিল্লি নিয়ে যেতে হবে, রায় আদালতের

আইএমএ-র তরফেও জানানো হয়েছে, মূলত ১৫ বছরের কম বয়সী ও ৫০ বছরের উর্ধ্ব ব্যক্তিরাই এই ইনফ্লুয়েঞ্জা হচ্ছে। জ্বরের পাশাপাশি রেসপিরেটরি ইনফেকশন বা শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ হচ্ছে। তবে আন্দাজে কেবল অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করে, উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও আইভারমেকটিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিকের বহুল ব্যবহারের কারণে বর্তমানে তা আর সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর হচ্ছে না বলেই জানানো হয়েছে। 

ICMR সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কী করণীয় সেই বিষয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন সামনে এনেছে। এর মধ্যে রয়েছে নিয়মিত সাবান এবং জল দিয়ে হাত ধোয়া, যদি ইনফ্লুয়েঞ্জার কোনও উপসর্গ দেখা যায়, তবে মাস্ক পরা ও ভিড় এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে। হাঁচি-কাশির সময়ে সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢাকতে হবে। জ্বর এবং শরীরের ব্যথার ক্ষেত্রে, ICMR প্যারাসিটামল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।

পাশাপাশি কারোর সঙ্গে হাত মেলানো বা অন্য কোনও শারীরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। প্রকাশ্যে থুতু না ফেলার কথা বলা হয়েছে। তবে আইসিএমআর জানিয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য ওষুধগুলি কেবলমাত্র অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের পরেই খাওয়া উচিত।

RELATED ARTICLES

Most Popular